ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:২০:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মায়ের স্বপ্ন পূরণে আবেগাপ্লুত পাকিস্তানি ক্রিকেটার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

কাইনাত ইমতিয়াজ, পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য। ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ২০১১ সাল থেকে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করা মেয়ের এমন কীর্তিতে নিজের মধ্যে স্বপ্ন বুনেছিলেন সালিমা ইমতিয়াজও।

সম্পর্কে যিনি কাইনাতের মা হন। তার পক্ষে ক্রিকেটার হয়েই তো মাঠে সম্ভব নয়। তবে সবুজ মাঠে ক্রিকেটারদের বিচারক হয়ে নামার সুযোগ ছিল সালিমার সামনে। সেই স্বপ্নকে সঙ্গী করে ক্রিকেট আম্পায়ার হয়েই নিজের শৈশবের স্বপ্ন পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছা পূর্ণ করেছেন সালিমা।

নারী এশিয়া কাপের মঞ্চে আজ (১ অক্টোবর) ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সালিমার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছেন। মায়ের এমন কীর্তিতে আবেগাপ্লুত হয়েছেন কাইনাত ইমতিয়াজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মায়ের এমন কীর্তি নিয়ে আবেগাক্রান্ত একটা বিবৃতি দিয়েছেন কাইনাত।
যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মাকে উপস্থাপন করছি যিনি এসিসি নারী এশিয়া কাপ ২০২২ এর একজন আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সে যা অর্জন করেছে তার জন্য আমার গর্বের শেষ নেই। তিনি একজন অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব।

পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় তার স্বপ্ন ছিল। আজকের দিন পর্যন্ত তিনি এই স্বপ্ন লালন করে গেছেন। অবশেষে আজ, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তিনি পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছেন। আমরা দুইজনই এখন পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত, আলহামদুলিল্লাহ।
আমার মা আজ ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের মধ্য দিয়ে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন।’

মেয়ে এবং মায়ের এই স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়েছে কাইনাতের বাবা ইমতিয়াজ খাজা। এছাড়াও এই স্বপ্ন পূরণে যাদের পাশে পেয়েছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কাইনাত আরও লিখেছেন,

‘আমার বাবাকে আজ অনেক বেশি স্বাগতম জানাচ্ছি, আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি আমাদের সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। আমাদের সাহস দিয়েছেন, আমাদের কখনোই থামতে দেননি, আমাদের লক্ষ্যকে আরও বেশি নির্দিষ্ট করেছেন এবং সেরা সমালোচক হয়ে পাশে ছিলেন।

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান একজন যার কারণে তার মতো একজন বাবা পেয়েছি। আমি এমন এক ভাই পেয়েছি যে সবসময় আমার পাশে ছায়া হয়ে ছিল এবং অসাধারণ এক স্বামী পেয়েছি যে আমাকে আমার বাবার মতোই সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। আমার জীবনে এত্ত অসাধারণ মানুষ পেয়ে আমি আসলেই আশীর্বাদপুষ্ট।

আমি তোমাদের সবাইকে অনেক বেশি ভালোবাসি।’