ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:০১:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ধর্ষণ মামলায় ‘টু ফিঙ্গার’ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৫:৪৬ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৩৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের করা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার দেয়া রায়ে আদালত বলেন, এই টেস্টের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকায় এখন থেকে কোনো ধর্ষণ মামলায় নারীর ওপর এই পরীক্ষা করা যাবে না।

 

২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ নামে ৬টি পৃথক সংগঠন এবং দুইজন ব্যাক্তি ধর্ষণের শিকার নারীর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।

 

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার আদালত টেস্টটি নিষিদ্ধ করে রায় দিলেন।

 

টু ফিঙ্গার টেস্ট কী : ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ভিকটিম নারীর যোনিমুখে আঙুল ঢুকিয়ে দেখা হয়, তার হাইমেন (যোনিমুখের পর্দা) অটুট রয়েছে কি না। আগে মনে করা হতো, এই পরীক্ষার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কিনা তার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব।

 

ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার ডাক্তারি প্রমাণ হিসেবে অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানই বলে যে, এই পরীক্ষার কোনও কার্যকারিতা নেই। কারণ শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও আরও নানা কারণে হাইমেন ছিন্ন হতে পারে।