কমনওয়েলফ গেমসে ব্যর্থতার তালিকায় দেশের নারী এ্যাথলেটরা
সালেহীন বাবু
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০২:৪৫ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
গোল্ড কোষ্ট কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের নারী এ্যাথলেটদের ব্যর্থতার তালিকা বেড়েই চলছে। এই ব্যর্থতার তালিকায় সর্বশেষ নাম সংযোজন হয়েছে বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তারের।
কমনওয়েলফ গেমসে ১০০ মিটার প্রন্টে ভালো করতে পারেননি শিরিন। ৪১ জনের মধ্যে হযেছেন ৩৮ তম। এবার ২০০ মিটার প্রন্টে আরো বেহাল দশা এই এ্যাথলেটের। দেশের মাটিতে দাপিয়ে বেড়ানো এই তারকা ৩৬ জনের মধ্যে সবার শেষে দৌড় শেষ করেছেন। ২০০ মিটারে হয়েছেন ৩৬ তম। তাতে তার সময় লেগেছে ২৬.১৭ সেকেন্ড।
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে কমনওয়েলথ গেমসে একমাত্র শুটিং থেকে পদক আসার সম্বাবনার কথা জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। আব্দুললাহ হেল বাকী হতাশ না করলেও শুটিংয়ে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে বাছাই পর্ব পার হতে পারেননি বাংলাদেশের আরমিন আশা ও আরদিনা ফেরদৌস।
এ্যাথলেটিক্সেও ১০০ মিটার ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। মেয়েদের ১০০ মিটার প্রংটের প্রথম হিটে অংশ নেন শিরিন। ১২.৭২ সেকেন্ডে শেষ করেন নিজের দৌড়। নিজের হিটে ৭ প্রতিযোগীর মধ্যে হন ষষ্ঠ। আর মোট ৪২ প্রতিযোগির মধ্যে তার অবস্থান ৩৮ তম।
ভারোত্তোলনে মেয়েদের ৫৮ কেজি ওজন শ্রেনীতে ১৪ প্রতিযোগির মধ্যে ১৩ তম হয়েছেন ফায়েমা আক্তার। মেয়েদের ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে ১২ প্রতিযোগির মধ্যে সবার শেষে ফুলপতি চাকমা। মেয়েদের ভারোত্তালনে ৭৫ কেজি ওজনের শ্রেণীতে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের জহুরা খাতুন। স্নাচে ৬৫ কেজি আর ক্লিন এন্ড জার্কে ৯০ কেজি তোলেন তিনি।
মেয়েদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলের দুই নামবার হিটে ৩১ দশমিক ২ সেকেন্ডে সময় নিয়ে সাঁতার শেষ করেন নাজমা। নিজের হিটে ছয় প্রতিযোগির মধ্যে পঞ্চম এবং সব মিলিয়ে ৪০ প্রতিযোগির মধ্যে ৩৭ তম হয়েছেন তিনি।
সাঁতারে মেয়েদের ৫০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে ৩২ দশমিক ৯৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে নাজমা খাতুন ২৯ প্রতিযোগির মধ্যে ২৮ তম হয়েছেন।
প্রতিবারই কমনওয়েলথ গেমসে বহু উৎসাহ নিয়ে বাংলাদেশ অংশ নেয়। এবারের উৎসবেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। বাংলাদেশের সম্মান, পর্যাদা আব্দুললাহ হেল বাকী রাখলেও মহিলা এ্যাথলেটরা ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে কারিশমা দেখালেও আলিম্পিকে এদেশের নারীরা নৃন্যতম সম্মান পর্যন্ত রাখে নি। দিন কে দিন এ ব্যর্থতার দায়ভার বেড়েই চলছে। প্রশ্ন এখন একটাই সফলতার দায় অনেকে নিতে চাইলেও এ ব্যর্থতার দায় কার?
