ঢাকা, রবিবার ১৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৪:৩৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রাজধানীর বাজার থেকে চিনি ‘উধাও’  

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দফায় দফায় চিনির দাম বাড়ার পরেও বাজারে দেখা দিয়েছে চিনির সংকট। যদি কোনো দোকানে চিনি পাওয়া যায়, সেখান থেকে দেওয়া হচ্ছে চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য কেনার শর্ত। এ ছাড়া চিনির দাম রাখা হচ্ছে রেকর্ডসম।

তিন দফায় বেড়ে খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা পর্যন্ত। যা গেল সপ্তাহেও বিক্রি হতো ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এর আগে গত ৬ অক্টোবর কেজিপ্রতি ছয় টাকা বাড়িয়ে চিনির দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, নিউমার্কেট, মহাখালী, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি জানা গেছে।

কারওয়ান বাজারের এক মুদি দোকানের বিক্রয়কর্মী বলেন, মনে হয় কোম্পানিগুলো চিনির দাম বাড়াবে। তাই চিনির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

কারওয়ান বাজারে বেশির ভাগ দোকানে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যায়নি। তবে দু-একটি পাওয়া গেলেও তা সহজে বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা।

কারওয়ান বাজারের একটি দোকানে এসে এক ক্রেতা প্যাকেটজাত কিছু চিনি দেখে কিনতে চান। কিন্তু দোকানি জানিয়ে দেন, বিক্রি করা হবে না। একান্তই কিনতে বলে চিনির সঙ্গে নিতে হবে অন্য পণ্য।

এ ছাড়া তদের নিয়মিত ক্রেতাদের কাছে চিনি বিক্রি করা হবে বলেও জানান ওই দোকানি।

পরে ওই ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা একের পর এক পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। তেলের পর এবার চিনির বাজারেও সিন্ডিকেট করা হয়েছে। সরকারের তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

রাজধানীর নিউমার্কেটের দোকানদার আলম বলেন, বাজারে চিনির সরবরাহ কমেছে। কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। চিনির বাজারেও কারসাজি করা হচ্ছে।

খুচরা ও পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা বলেন, মিল মালিকরা চিনি মজুত করায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

তবে মিল মালিকরা বলছেন, গ্যাস সংকটের কারণে চিনি পরিশোধনকারী কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি মিল চালানো যায় না। এতে কারও কারও উৎপাদন কমেছে এক-পঞ্চমাংশে। এ ছাড়া তাদের পরিবহনগুলোও গ্যাসের সমস্যায় ভুগছে।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, আগে মিলগুলোতে ২৪ ঘণ্টাই গ্যাস পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ৬ ঘণ্টাও মিলছে না। তাই দৈনিক চিনি সরবরাহ ৩ হাজার টন থেকে কমে ৫০০ থেকে ৫৫০ টনে নেমে এসেছে।

গ্যাসের সমস্যায় মাঝপথে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় তেল ও চিনি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীরা জানান, এলসি খোলার জটিলতায় আমদানি কমেছে। ডলার সংকটে আমদানি খরচ বেড়েছে। গ্যাস সংকটে উৎপাদন কমেছে। সব মিলিয়েই বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।