শিশুদের নাম রেখেই আয় কোটি টাকা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:১২ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২২ শুক্রবার
ফাইল ছবি
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের পেশা রয়েছে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষাকতার মতো পেশা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু অদ্ভুত পেশাও। এ রকমই এক পেশা হল, নবজাতকদের নামকরণ করা। যে সব বাবা-মা অনেক মাথা খাঁটিয়েও বাচ্চার নাম কী রাখবেন, তা ঠিক করতে পারেন না বা যুতসই নাম খুঁজে পান না, তারাই এই পেশার সঙ্গে যুক্তদের সাহায্য নিয়ে থাকেন। তবে পেশাদার নামকরণ শিল্পীদের দিয়ে বাচ্চার নাম ঠিক করালে ভাল খরচ করতে হবে। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত এ রকমই এক জন টেলর এ হামফ্রে। এই পেশা থেকে বর্তমানে কোটি টাকা আয় করেন তিনি।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা টেলর পেশাদার নামকরণিক। নবজাতকদের জন্য নিখুঁত এবং মানানসই নাম ঠিক করে দেয়াই ৩৩ বছর বয়সি টেলরের নেশা এবং পেশা।
প্রতিটি নামের জন্য ১ হাজার ৫০০ মাার্কিন ডলার নিয়ে থাকেন হামফ্রে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি। এছাড়া ১০ হাজার মার্কিন ডলারের একটি অপশন রয়েছে যেখানে মা-বাবার পেশাগত দিক বিবেচনা করে শিশুর নাম রাখা হয়।
টেলর জানিয়েছেন, ২০২২ সালে প্রায় একশ শিশুর নাম রেখেছেন। এ থেকে তিনি ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি।
‘হোয়াটস ইন অ্যা বেবি নেম’ নামে তার একটি ওয়েবসাইট আছে। হামফ্রে ফোনের মাধ্যমেও শিশুর নামের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বংশের অতীত তালাশ করে পুরোনো পরিবারিক নাম খুঁজে তিনি শিশুর নামকরণ করেন।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্কারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টেলর বলেন, যদি বাচ্চাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামগুলি দেখা যায়, তা হলে দেখা যাবে যে এই সব নামের অর্থে আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ অন্তর্নিহিত রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ম্যাচ-মেকার, তহবিল সংগ্রহ ও ইভেন্ট প্ল্যানারের কাজ করেছেন হামফ্রে। এরপর ২০১৫ সাল থেকে নিজের ব্যবসা চালু করেন তিনি। সেই সময় তিনি নিজের হাতে তৈরি একটি নামতালিকা দিয়ে ‘হোয়াটস ইন অ্যা বেবি নেম’ ব্যবসা শুরু করেন।
টেলর বলেন, প্রথমে ইনস্টাগ্রামে আমার ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক কম ছিল। কিন্তু আমি বাচ্চাদের নামকরণের জন্য বিভিন্ন অভিনব নাম ঠিক করে তা পোস্ট করার পর থেকে আমার ফলোয়ার বাড়তে থাকে। অনেকেই এই বিষয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাচ্চাদের নামকরণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
টেলর জানান, ২০১৮ সালে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে শিশুর নামকরণ প্রক্রিয়ায় অভিভাবকদের সাহায্য করে তিনি খুব মহৎ কাজ করছেন। একই সঙ্গে টেলর বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই কাজে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তাই নিজের ব্যবসা নিয়ে আরও সচেতন হন। কী ভাবে এই ব্যবসা আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন।
টেলর জানিয়েছেন, অনেক নবজাতকদের নামকরণ নিয়ে তাকে প্রচুর ঝক্কি পোহাতেও হয়। কিছু কিছু বাচ্চার অভিভাবকদের কোনও নামই পছন্দ না হওয়ায় তাঁকে অনেক বেশি খাটতে হয় বলেও টেলর জানান। তবে পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যও পান টেলর। কয়েক বছরের ব্যবসায় টেলর বর্তমানে বিপুল টাকার মালিক।
সূত্র: আনন্দবাজার