ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ৭:০০:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভোলায় শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি॥ কমেছে দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২২ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভোলা জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজির আমদানি বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় মূল্য অনেক কমেছে। প্রায় প্রতিটি শাক-সবজিতে সর্বনিন্ম ৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্য কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। 
শহরের বৃহৎ কাঁচা পাইকারী পণ্যের আড়ৎ নতুন বাজারের খাল পাড় সড়কের কাঁচা বাজার সরেজমিনে ঘুড়ে আজ শুক্রবার সকালে এমনটাই দেখা গেছে। পাইকারী বাজরে মূল্য কমায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। এতে করে স্বস্তি প্রকাশ করেছে ক্রেতারা।
স্থানীয় আড়ৎদার মো: শাজাহান জানান, আজ মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কমেছে। বেগুন ৫ টাকা কমে ২৪ থেকে ২৫ টাকা। ফুলকপি ১০ টাকা কমে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাঁধা কপি ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা। সীম ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, যা কমেছে ১০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মূল্য কমেছে প্রতিটিতে ৩০ টাকা। টমেটো (পাঁকা) বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, মূল্য কমেছে ৫০ টাকা। টমেটো (কাঁচা) ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
তিনি আরো জানান, বরবটি ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনে পাতা ৩০ টাকা কমে কেজিতে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শশাঁ ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা। দুন্দুল ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা। এছাড়া পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়ার মূল্য আগের মতই রয়েছে।
একইসাথে শীতের লাল শাক, পালং শাক ও মুলার শাক আটিতে কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা। কাঁচা মরিছ কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।
জেলা কাঁচা বাজার আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় শীত বাড়ার সাথে সাথে শীতের সবজির আমদানী  বেড়েছে । আর এতে করে মূল্যও কমছে। জেলায় স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন হলেও মূলত: যশোর থেকে বর্তমানে সবজি আসছে। এর কারণ আমাদের এখানে প্রাকৃতিক কারণে একটু দেড়িতে সবজি চাষ হয়। ইতোমধ্যে লোকাল সবজিও বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই স্থানীয় সবজির সরবারহ বাজারে বৃদ্ধি  পেলে মূল্য আরো কমে যাবে। সব মিলিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মূল্য আরো কমার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে জেলায় এবছর ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ। নির্ধারিত জমি থেকে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮২ মেট্রিকটন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।