ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৫১:১২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জনপ্রিয় টিকটকারের আকস্মিক মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান টিকটিক তারকা মেঘা ঠাকুরের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে কানাডায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতেন মেঘা। টুইটারে তার ফলোয়ার সংখ্যা ৯৩ হাজারের বেশি। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা এক লক্ষাধিক। আর টিকটকে ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার।

ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন মেঘা। টিকটিকেও তার জনপ্রিয়তা কম নয়। লাখ লাখ মানুষ মেঘার ভিডিও দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতেন।

সামাজিক মাধ্যমে জীবনের কথা বলতেন মেঘা। মাত্র ২১ বছর বয়সেই জিতে নিয়েছিলেন অজস্র হৃদয়। তার ভিডিওতে বলা কথাগুলো শুনে জীবনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন অনেকে।

২০০১ সালে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে জন্ম মেঘার। মাত্র এক বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে কানাডায় পাড়ি জমান মেঘা। এর পর থেকে সেখানেই থাকতেন তিনি। কানাডার জল-হাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন ভারতীয় কন্যা।

২০১৯ সালে কানাডার মেফিল্ড সেকেন্ডারি স্কুল থেকে স্নাতক পাশ করেন মেঘা। উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে। তার পরেই টিকটকে ভিডিও বানাতে শুরু করেছিলেন তিনি। 

সম্প্রতি মেঘার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার বাবা-মায়ের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতেই জানানো হয় মেঘার মৃত্যুর খবর। এতে স্তম্ভিত হয়ে যায় তার অজস্র অনুরাগী।

ইনস্টাগ্রামে যৌথ বিবৃতিতে মেঘার বাবা-মা লেখেন, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি— আমাদের জীবনের আলো, আমাদের ফুটফুটে মেয়ে মেঘা ঠাকুর গত ২৪ নভেম্বর সকালে আচমকা এবং অপ্রত্যাশিতভাবে পরলোকে পাড়ি জমিয়েছে।’

ঠিক কী ভাবে, কী কারণে মেঘার মৃত্যু হয়েছে, বিবৃতিতে তা জানাননি মেঘার বাবা-মা। তারা এই মৃত্যুকে ব্যাখ্যা করেছেন কেবল দুটি শব্দে—‘আচমকা’ এবং ‘অপ্রত্যাশিত’, যা আরও বেশি চমকে দিয়েছে মেঘার অনুরাগীদের।

শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মেঘার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ মৃত্যুর মাস চারেক আগে মেঘার একটি ভিডিওতে তার অসুস্থতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।

চার মাস আগের একটি ভিডিওতে মেঘা জানিয়েছিলেন, উদ্বেগের কারণে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা