ঢাকা, মঙ্গলবার ০৯, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২২:৫০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৃতীয় শ্রেণি থেকে কোডিং শেখানো হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ছাড়া চলবে না। ফলে এই জানুয়ারি থেকে স্কুলে কোডিং, ডিজাইন, অ্যানিমেশন শেখানে হবে। ৬ থেকে ১৫ বছরের বাচ্চাদের তাদের বয়স অনুযায়ী এ শিক্ষা দেয়া হবে এবং শিশুরা খেলতে খেলতে শিখবে।

রোববার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমরা এখন তৈরি পোশাক শিল্প দিয়ে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করি। কিন্ত আগামীতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মূদ্রা আয় হবে। সেই জায়গায় যেতে হলে শিশুদের এখনই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আগামীতে সরকার শিক্ষাকেই মেগা প্রজেক্ট হিসেবে গ্রহণ করবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান গবেষণাকে বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া খুব জরুরি। গবেষণায় একাডেমিক-ইন্ডাস্ট্রির মেলবন্ধন ঘটাতে হবে। বাণিজ্যিকরণের জগতের সঙ্গে বিজ্ঞানীর চিন্তা জগতের সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, রাজনীতি সচেতন হবে, সক্রিয় হবে । তবে রাজনীতি একটি ইতিবাচক বিষয়। এর মধ্যে নেতিবাচকতা যেন না আসে। মানুষের মন জয় করে রাজনীতি করতে হবে। এর জন্য ইতিবাচক রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, যবিপ্রবি এখন এ অ লের ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স-থএ পরিণত হয়েছে। এ জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় সুযোগ বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। একইসঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিনস কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সেলিনা আক্তার, কর্মকর্তাদের পক্ষে উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ এমদাদুল হক, কর্মচারীদের পক্ষে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সরদার ফরিদ আহমেদ, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুনিবুর রহমান ও একই বিভাগের প্রভাষক তুসমিত মেহরুবা আঁকা।

অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে উদ্ভাবন ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এর আগে তিনি যবিপ্রবিতে ১০-তলা বিশিষ্ট স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন। এর পরপরই যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ‘যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন উদ্বোধন করেন। স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষামন্ত্রী একটি কৃষ্ণচূড়ার চারাও রোপণ করেন। এর আগে সবাইকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যবিপ্রবির প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেন।