ঢাকা, শুক্রবার ১২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:১৯:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

টাইব্রেকারে স্পেনকে হটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো

খেলাধুলা ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৫ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

টাইব্রেকারে স্পেনকে হটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো

টাইব্রেকারে স্পেনকে হটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস ফুটবল। এক বার স্পেন আক্রমণ করছে, তো পর ক্ষণেই মরক্কো। ১২০ মিনিট ধরে এ ভাবেই দুলল ম্যাচের ভাগ্য। কোনও পক্ষই বিপক্ষের জালে বল গলাতে পারল না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে আবার অঘটন ঘটাল মরক্কো। তিনটে সেভ করে নায়ক হলেন মরক্কোর গোলকিপার।

প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বেশি আক্রমণে রাস্তায় হাঁটেনি স্পেন। তাদের ফুটবলাররা বল নিজেদের পায়ে বেশি ক্ষণ রাখার দিকেই নজর দেন। মরক্কো নির্ভর করেছিল প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলার উপর। স্পেনের বেশির ভাগ ফুটবলারই লক্ষ্য রাখছিলেন বিপক্ষের ভুলের দিকে। ফাঁকা জায়গা পেলেই আক্রমণ করবেন, এমনটাই লক্ষ্য ছিল লুই এনরিকের দলের ছেলেদের। কিন্তু মরক্কো বিপক্ষের পরিকল্পনা বুঝে ফেলেছিল। তারা একটুও ফাঁকা জায়গা দেয়নি। বক্সের বাইরে স্পেনের ফুটবলাররা পৌঁছে গেলেই ছেঁকে ফেলছিল মরক্কো। আক্রমণের সময় উইং দিয়ে দৌড়ে স্পেনকে নাজেহাল করে দেন সোফিয়ান বৌফাল। দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে বিপক্ষের ঘুম উড়িয়ে দেন তিনি।

স্পেনের পায়ে বল থাকলেও আক্রমণে মরক্কোকে অনেক বেশি সপ্রতিভ লেগেছে। ম্যাচের প্রথম তাদেরই। আচরফ হাকিমির ফ্রি-কিক বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। নৌসের মাজরাউইয়ের শট বাঁচিয়ে দেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমন। তার পরেই সুযোগ আসে নায়েফ আগুয়ের্দের কাছে। বৌফালের কাছ থেকে ভাল বল পেলেও তাঁর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে স্পেনের গোলের সুযোগ এসেছিল মার্কো আসেনসিয়োর কাছে। মরক্কোর ডিফেন্সকে অতিক্রম করে বক্সে ঢুকে পড়লেও শট যায় বাইরে।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দেয়। কেন গ্রুপের শীর্ষ স্থানাধিকারী দল হয়ে নকআউটে উঠেছে মরক্কো, সেটা তারা বুঝিয়ে দেয় প্রতি মুহূর্তেই। ৫৪ মিনিটের মাথায় ফ্রিকিক পায় স্পেন। আসেনসিয়োর ফ্রিকিক থেকে বল পান দানি ওলমো। তাঁর কোনাকুনি শট বাঁচিয়ে দেন মরক্কোর গোলকিপার বোনো। আক্রমণ বাড়ানোর লক্ষ্যে আলভারো মোরাতাকে ৬৭ মিনিটে নামিয়ে দেন এনরিকে। তবে মোরাতা বিপক্ষের গোলের কাছেই পৌঁছতে পারছিলেন না। প্রথম সুযোগ পান ৮২ মিনিটের মাথায়। নিকো উইলিয়ামসের থেকে বল পেয়ে নিজে না মেরে বল পাঠিয়েছিলেন বক্সে। সেটি পায়ে ঠেকানোর জন্যে কেউ ছিলেন না।

নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকায় গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আক্রমণে আনসু ফাতিকে নামিয়ে দেন এনরিকে। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে গোলের সেরা সুযোগ এসেছিল মরক্কোর কাছেই। ওউনাহি বল বাড়িয়েছিলেন চেদিরাকে। গোলকিপারকে একা পেয়েও সোজাসুজি তাঁর দিকেই শট মারেন ওউনাহি। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলের গোলের সুযোগ খুঁজতে থাকে। এ বার সবচেয়ে ভাল সুযোগ এসেছিল স্পেনের কাছে। বাঁ দিক থেকে বল ভাসিয়েছিলেন স্পেনের ফুটবলার। ডান দিক দিয়ে ছুটতে ছুটতে আসছিলেন সারাবিয়া। চলতি বলে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। তবে সারাবিয়ার কাছে গোলে রাখার সুযোগ ছিল।