ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১০:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পুরুষ-নারীর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ডিকশনারিতে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’র সংজ্ঞা লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়েছে সব সময়। সেখানে এবার একটু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। 

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিধানে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’র সংজ্ঞায় জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় ছাড়াও রূপান্তরকামী মানুষ ও লিঙ্গান্তরিত মানুষের পরিচয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন সংযোজিত সংজ্ঞা অনুসারে এখন অভিধানটিতে পুরুষের নতুন সংজ্ঞা হলো— যিনি নিজেকে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করেন। অর্থাৎ বলা যায়, এ ক্ষেত্রে তিনি জন্মগতভাবে কোন লিঙ্গের তা বিবেচ্য নয়। একইভাবে নারীর নতুন সংজ্ঞা হলো— যে মানুষ নিজেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করেন। সহজ কথায়, রূপান্তরকামী এব‌ং লিঙ্গান্তরিত নারী-পুরুষও এই ‘পরিবর্তিত’ সংজ্ঞা দুটিতে অন্তর্ভুক্ত। 

উদাহরণ দিয়েও বোঝানো হয়েছে যে, লিঙ্গ পরিচয় শুধু যৌন চিহ্নের ওপর নির্ভরশীল নয়।

লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করেই পুরুষ বা নারী পরিচয় ধার্য করা যথাযথ কি না, সে বিতর্ক পুরোনো। অনেকের দাবি, একটি মানুষের জন্মগত লিঙ্গের সঙ্গে তার জেন্ডার আইডেন্টিটি ভিন্ন হতে পারে। এর কারণ, এই পরিচয় মূলত মানুষটি নিজেকে কোন লিঙ্গের মনে করেন তার ওপর নির্ভর করে। ফলে, কেউ পুরুষ হয়ে জন্মালেও নিজেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করতেই পারেন। লিঙ্গ এবং যৌনতাকে একে-অপরের পরিপূরক করে তোলার যে প্রবণতা যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে, সেটা নিয়েই বার বার প্রশ্ন তুলেছেন লিঙ্গসাম্য আন্দোলনকারীরা। বলা চলে, কেমব্রিজ অভিধানের এই পদক্ষেপ সেই আন্দোলনের পথ আরেকটু সহজ করে দিল।