ঢাকা, শুক্রবার ১২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:০৭:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চতুর্থ দিনের শুরুতে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মিরপুর হোম অফ ক্রিকেটে সিরিজের শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিলো ১০০ রান আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ৬ উইকেট।

জয়ের লক্ষ্যে চতুর্থ দিনের শুরুতেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে দিনের দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন জয়দেব উনাদকাট।

এরপরে ব্যাটিংয়ে নামেন রিশাভ পান্ত। ধারণা করা হচ্ছিলো এই বুঝি অক্ষর প্যাটেল আর রিশাভ পান্ত মিলে জয় ছিনিয়ে নেবেন। তবে সে ধারণা ভুল প্রমাণ করলেন পান্ত। মিরাজের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলনে ফিরলেন তিনিও।

পান্তকে আউট করার পর বাংলাদেশকে জয়ের আরও কাছাকাছি নিয়ে যান মিরাজ। এবার তার ঘূর্ণির ফাঁদে আটকা পড়ে অক্ষর প্যাটেল। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এই মুহূর্তে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৬৯ রান। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩ উইকেট। টাইগার বোলাররা যেভাবে ভারতীয় ব্যাটারদের চেপে ধরেছেন তাতে আশা করা যেতেই পারে আরও এক জয়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছে মিরপুর স্টেডিয়াম।

বাংলাদেশের দেয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন সাজঘরে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, ব্যাটিং স্তম্ভ চেতেশ্বর পূজারা আর বিরাট কোহলি। ৩৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় ভারত।

রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিব টার্নে পরাস্ত করেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে (২)। ব্যাটে ছোঁয়া লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।

এরপর আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণি ডেলিভারি কিছুটা সামনে এসে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন সোহান। ৬ রানে থামেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ।

প্রায় একইরকমভাবে মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়েছেন শুভমান গিল (৭)। এবারও স্টাম্প ভেঙেছেন সোহান। বিরাট কোহলি ছিলেন সবচেয়ে বড় বাধা। শেষ বিকেলে তার উইকেটটিও তুলে নিয়েছেন মিরাজ। কোহলি ডিফেন্ড করেছিলেন, ক্যাচ চলে যায় শর্ট লেগে মুমিনুলে কাছে। দারুণ এক ক্যাচে কোহলির (১) বিদায়ঘণ্টা বাজান মুমিনুল।