ঢাকা, সোমবার ০৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:৫৪:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বছরজুড়ে যেমন ছিল শিক্ষা খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৬ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা, প্রাথমিকে বড় আকারে শিক্ষক নিয়োগ, দুই হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওকরণ, এইচএসসিতে বিতর্কিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষাসহ শিক্ষা খাতে ২০২২ সালে অনেক কিছুই ঘটেছে। নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের ঘ্রাণ পাওয়া নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

 যেমন ছিল বিদায়ী বছরের শিক্ষা খাত:

এমপিও কোড পেয়েছে ২০৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান:

এ বছরই দেশের ২ হাজার ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও কোড দেওয়া হয়েছে। বিদায়ী বছরের জুলাইয়ে এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। কয়েকমাস অপেক্ষার পর এমপিও কোড পায় প্রতিষ্ঠানগুলো। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমপিও কোড দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। নির্বাচিত স্কুল-কলেজের মধ্যে ৬৬৬টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ১২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১০৯টি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ও ১৮টি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষায় অগ্রগতি:


২০২২ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষায় অগ্রগতি হয়েছে। শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শিশুরা নিজ দেশের পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষা অর্জনের জন্য তালিকাভুক্ত হয়। যা তাদের শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি যুগান্তকারী অর্জন।

বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে প্রায় চার লাখ স্কুল-বয়সী রোহিঙ্গা শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে তিন লাখ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষা গ্রহণ করছে। ইউনিসেফ এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদাররা বিশ্বের বৃহত্তম এই শরণার্থী শিবিরে সুবিশাল এই শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। একাধিক ক্যাম্পজুড়ে ৩ হাজার ৪০০টি শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে ২ হাজার ৮০০ টিই ইউনিসেফ সমর্থিত।

শিক্ষার্থী বেড়েছে কারিগরিতে:

২০২২ সালে কারিগরি ও ভোকেশনালেও (স্বতন্ত্র) শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান-দুটিই বেড়েছে। দেশে এখন ২ হাজার ৪৮৯টি কারিগরি ও ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ৭ লাখ ৬২ হাজারের বেশি। যা ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ছিল প্রায় ৭ লাখ ১৯ হাজার। তখন প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৪৭৪টি। এক বছরের ব্যবধানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে। এখন দেশে এই দুই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১৬০টি।

মাদরাসা শিক্ষায় স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম:

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির আলোকে মাদরাসা শিক্ষায় স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দাবি করা হয় বছরের শেষ মাসের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ নামে একটি সংগঠন এ দাবি করে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মাদরাসা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি তোলে সংগঠনটি।

সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে মাদরাসা শিক্ষক নিয়ে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা, মাদরাসা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে মাদরাসার বই লেখা, বিষয় নির্বাচন ও কন্টেন্ট তৈরি করা, স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত মাদরাসায় প্রচলিত শিক্ষক্রম পড়াতে হবে, মাদরাসা শিক্ষার জন্য মাদরাসার মূল বিষয়গুলো ঠিক রেখে সাধারণ বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পাবলিক পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণ করা, সংখ্যাগরিষ্ঠদের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের আলোকে শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে নতুন শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা এবং এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট:

প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিকে মিশ্র পদ্ধতিতে নিতে প্রায় এক লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা এ বরছরই হাতে নিয়েছে সরকার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষককক্ষ ও ল্যাবে প্রায় ১৪ লাখ ইন্টারনেট সংযোগের চাহিদা রয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোরডেবল ইন্টারনেট সম্মিলিতভাবে একটি ব্রডব্যান্ড পলিসি তৈরির কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা, ডিজিটাল দক্ষতা, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালা হয়েছে।

এইচএসসিতে বিতর্কিত প্রশ্ন:

২০২২ সালের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন করা হয়। যা নিয়ে সারাদেশে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। এর পেছনে জড়িত পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে শিক্ষামন্ত্রীও বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম ও পরিচয় জানিয়ে বলেছেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল বাংলা প্রথম পত্রের বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছেন। প্রশ্নটির মডারেশেন (পরিশোধনকারী) করেছেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বাংলাদেশের ২ শিক্ষক:

চলতি বছর বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) দুই শিক্ষক।

তালিকায় স্থান পাওয়া এই দুই গবেষক হলেন, আইইউবিএটি’র অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রাসুল এবং সিভিল ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র পাল।

গবেষকদ্বয় বছরের বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ের’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র ২০২১-২২ সালের বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ড. গোলাম রাসুল দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ডেভলপমেন্ট (আইসিআইএমওডি) এর প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে ড. সুভাষ চন্দ্র পাল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকীতে ৮০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

টাইমসের তালিকায় দেশের পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় :

‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং’-এর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই) । সেই তালিকায় এ বছরই বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) আছে এবারের তালিকায়।

তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৬০১ থেকে ৮০০ ক্রমের মধ্যে। আর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১২০১ থেকে ১৫০০ ক্রমের মধ্যে।

শিক্ষা সাময়িকীটি ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম মূল্যায়ন করে এই তালিকা প্রকাশ করে। গত পাঁচ বছরের মতো এবারও তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেরা পাঁচে রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে মাউশির ৯ নির্দেশনা:

দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ প্রণয়ন করা হয়। ওই নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করা এবং এতে পরিহারযোগ্য বিষয়াদির উল্লেখ রয়েছে। এ নির্দেশনার আলোকে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং এর আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীদেরকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১. সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫. লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।

৬. জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না।

৭. ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার হতে বিরত থাকতে হবে।

৮. অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘কন্টেন্ট’ ও ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সবাইকে সতর্কতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রয়োজনে ভবন নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ:

প্রয়োজন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক, আবাসিক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ না করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।

বিদায়ী বছরের শেষ মাসের প্রথম দিন ইউজিসি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ভবন ও হল নির্মাণ করা হচ্ছে। বাস্তবে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত বহুতল ভবনের অধিকাংশ ফ্ল্যাট খালি পড়ে আছে। কিন্তু আবাসিক সঙ্কটের ফলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে হচ্ছে। অপ্রয়োজনে ভবন নির্মাণ করা হলে শুধু শুধুই রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় করা হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না। বারবার তারা সময় ও ব্যয় বাড়ানোর আবেদন করছেন। ফলে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তারাও অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন।

সোয়া ১৩ লাখ ভর্তিচ্ছুর বিপরীতে ৭০ লাখের বেশি আবেদন:

সবকিছু পেরিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে প্রথম ধাপে ১৩ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। তারা বিভিন্ন কলেজের ৭০ লাখ ২০ হাজারের বেশি আসন পছন্দ দিয়েছেন।

প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা নিশ্চায়ন না করলে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে। তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে। আগমী ৯ ও ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জানুয়ারি। একই দিনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি।

তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৬ জানুয়ারি। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জানুয়ারি। একইদিনে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১৯ ও ২০ জানুয়ারি।

আগামী ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি চলবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।