ঢাকা, সোমবার ২০, মে ২০২৪ ৩:৫৭:৫৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ১২০তম জন্মবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ১ জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

‘তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়’, ‘এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে’, ‘ও বাবু সেলাম বারে বার,/ আমার নাম গয়া বাইদ্যা বাবু/ বাড়ি পদ্মা পার।’ এমন অনেক মন ভোলানো কবিতা ও গানের মধ্য দিয়ে গ্রামবাংলার খাঁটি চিত্র তুলে ধরা পল্লিকবি জসিমউদ্দীনের ১২০তম জন্মদিন রোববার (১ জানুয়ারি)।

১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পল্লিকবি জসিমউদ্দীনের বাবার নাম আনছারউদ্দিন ও মা আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সাহিত্যের সব শাখায় তাঁর বিচরণ ছিল। কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও আত্মকথা সহ নানাধর্মী সাহিত্য রচনায় তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। তবে কবি হিসেবে তিনি সবার কাছে বেশি পরিচিত। পল্লিকবি জসিমউদ্দীনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ও ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বাংলা গীতি কবিতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তার কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। তাঁর লেখা অসংখ্য পল্লিগীতি এখনও গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। তারমধ্যে কয়েকটি হলো, আমার হার কালা করলাম রে, আমায় ভাসাইলি রে, বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে ইত্যাদি।

পল্লিকবি জসিমউদ্দীন ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি, ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, একই বছর বাংলাদেশের ২১শে পদক, ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা পদক সহ আরও অনেক সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হন।

পল্লিকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ফরিদপুরের সরকারি-বেসরকারি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টায় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ৯টা ১৫ মিনিটে কবির বাড়ির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা এবং আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।