ঢাকা, সোমবার ০৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০৭:০৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ঢাবি হলে শাড়ি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড, আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নারী নেতাকর্মীরা শাড়ি পরে অংশ নেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই শাড়ি নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি প্রক্টরকেও যেতে হয় ওই ছাত্রী হলে। 

হল সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসী বঙ্গমাতা হলের শিক্ষার্থী। তিনি ওই হলের সভাপতি-সেক্রেটারির সঙ্গে মুভ না করে (একসঙ্গে না গিয়ে) আলাদা গ্রুপ নিয়ে মুভ করতে চান এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তার অনুসারীদের জন্য আলাদা শাড়ি দাবি করেন। কিন্তু সভাপতি-সেক্রেটারি তাদের শাড়ি দিতে অস্বীকৃতি জানান।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলাদাভাবেই মুভ করেন তাপসী ও তার অনুসারীরা। সন্ধ্যায় হলে ফিরে যাওয়ার পর এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাপসীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুকুম দেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এরপর দুই গ্রুপে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হল ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিনা ইয়াসমিন নিজেরাও চড়াও হয়ে মারধর ও হাতাহাতিতে অংশ নেন বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।

রাত ৮টার দিকে শুরু হওয়া হাতাহাতি ও সংঘর্ষ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপসম্পাদক ও হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রনক জাহান রাইন, প্রশিক্ষণ উপসম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসী, ছাত্রলীগ কর্মী সুলতানা ও সাধারণ শিক্ষার্থী শাহিদা আক্তার। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পরে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। উভয়পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করার চেষ্টা করেন তারা।

এ ঘটনায় তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, শুনেছি শাড়ি দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টা আমরা তদন্ত করব। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটবে আমরা প্রত্যাশা করি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন এবং জড়িতদের নিয়ে আমরা বসে কথা বলেছি। মোটামুটি সমাধান হয়ে গেছে। বাকিটা আমরা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। হল প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছেন। আশা করি সুষ্ঠু একটা সমাধান হবে।