ঢাকা, শুক্রবার ১২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:১১:৫৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

খাতুনগঞ্জে বাড়ছে আদা-রসুনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নতুন দেশি রসুন উঠতে শুরু করেছে। তার পরও বাজারে আদা ও রসুনের দাম বাড়তি। পণ্য দুটি আমদানিনির্ভর হওয়ায় এ পরিস্থিতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, মূলত এলসি জটিলতার কারণে চীন-ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আদা-রসুন আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতেই চড়েছে বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

গতকাল রোববার ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা যায়, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম না বাড়লেও বাজারে ভারতীয় রসুন নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বাজারে দেশি রসুন আসা শুরু হয়েছে। নতুন রসুন কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


অন্যদিকে রসুনের মতো বেড়েছে আদার ঝাঁজও। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। বার্মা আদা কেজিতে ৬০ টাকা ও থাই আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ের পাইকারি আড়ত ঘুরে বার্মা ও থাই আদা খুব একটা দেখা যায়নি।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মেসার্স বাণিজ্যালয়ের প্রোপাইটর হাজি মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘হঠাৎ আদা-রসুনের দাম বেড়ে গেছে। অনেকে বলছেন ব্যবসায়ীরা মজুত করে দাম বাড়িয়েছেন, এটা সত্য নয়। এলসি জটিলতার কারণে রসুন-আদার আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাজারে হঠাৎ ৫ টাকা বাড়ছে, আবার কমছে। এ অবস্থায় আমাদেরও লোকসান হচ্ছে।’

বাকলিয়ার মুদি দোকানি রঞ্জন ঘোষ  বলেন, দেশি আদার দাম কিছুটা কম। কিন্তু এসব আদা এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে কালচে দাগ পড়ে যায়। তা ছাড়া সাইজে ছোট হওয়ার কারণে দেশি রসুনের প্রতিও ক্রেতাদের আগ্রহ কম। একইভাবে দেশি আদার চাহিদা তুলনামূলক কম।

চাক্তাই আড়তদার সমিতির অর্থ সম্পাদক খোরশেদুল আলম  বলেন, এলসি জটিলতার কারণে আমদানি কমেছে। তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমেছে। এ কারণে আদা-রসুনের দাম বেড়ে গেছে।

চকবাজারের মোহাম্মাদিয়া স্টোরের বিক্রেতা আবদুল হাই  জানান, খোলা বাজারে আদা-রসুনের দাম হুট করে বাড়েনি। গত সপ্তাহখানেক ধরে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তে বাড়তে দাম এত বেশি বেড়ে গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং জরুরি বলে মনে করেন তিনি।