ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৭:১৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গোমতি নদীর তীরে কাশ্মিরী আপেল কুল চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মায়ের কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ২০১৯ সালে শখের বশে কাশ্মিরী কুল চাষ ঝাকুনিপাড়া  শুরু করেছিলেনগ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তিনি।

গোমতীর চরে ৮০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন কাশ্মিরী কুলের ৩৫০টি চারা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬৫০টিতে। আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, অনেকটা বাউকুলের মত। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এ কাশ্মিরী আপেল কুল।
চাষি শাহজাহান জানান, ৪ বছর আগে পাশ্ববর্তী ভারত থেকে চারা আনেন। আনা-নেওয়াসহ প্রতিটি চারার খরচ পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা। এখন পর্যন্ত তিন বছরে তার ব্যয় হয়েছে ১ লাখ টাকার মতো। প্রতিটি বছর গাছে প্রচুর পরিমাণে কুল ধরে। প্রথম ও ২য় বছর মিলে তিনি লাভ করেছে ৩ লক্ষ টাকা। এ বছরও প্রতিটি গাছ ৩০-৪০ কেজি করে কুল ধরেছে। এভাবে টানা ৫-৭ বছর পর্যন্ত ফল বিক্রি করা যাবে। প্রতি কেজি কুল ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি এখনও বিক্রি শুরু করেননি। দু’একদিনের মাধ্যে শুরু করবেন। সব মিলিয়ে এ বছর তিনি ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, নতুন জাতের কাশ্মীরি আপেল কুল কুমিল্লায় চাষ  হচ্ছে। শুরু থেকেই নতুন জাতের একুলচাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মীরা সহযোগিতা করে আসছেন বলে জানান তিনি।