ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৭:১৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ খেজুর গুড়ের হাট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সারি সারি গুড়ের ভাঁড়। চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের এই সৌন্দর্য যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। শীত মৌসুমে জমজমাট থাকে, দেশের বৃহৎ ঐতিহ্যবাহী খেজুর গুড়ের হাট।

সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার বসে এই হাট। মাটির হাড়ির আকার ও ওজন ভেদে ওঠানামা করে দাম। একভাঁড় গুড় বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২৫ শ’ টাকায়।

স্থানীয়রা জানান, কৃষকরা গুড় বানিয়ে সকালবেলা নিয়ে আসেন। বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসেন, তারা কিনে বিভিন্ন জায়গায় চলে যান। এটা একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। আমি মনে করি, বাংলাদেশের ভেতর এটা সবচেয়ে বড় হাট। অন্যবারের চেয়ে এবার গুড়ের দাম একটু বেশি।

গুণগত মান ভাল হওয়ায় এখানকার গুড় কিনতে ভিড় করেন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার বেপারিরা। অন্য সময়ে তুলনায় এ বছর চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে দামও।

গুড় বিক্রেতারা জানান, আমরা রস থেকে গুড় তৈরি করে বাজারে নিয়ে আসি। এখানে গুড়ের মান ভালো। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যাপারীরা এসে এ গুড় নিয়ে যায়। অন্য বছরের তুলনায় এবার গুড়ের মানও ভালো, দামও ভালো। চাহিদা বেশি থাকায় আমাদের বিক্রিও হচ্ছে ভালো।
ব্যাপারীরা জানান, এবার গুড়ের মান ভালো। সবাই বেশি বেশি কেনার চেষ্টা করছে। এ বছর চাহিদা অনেক বেশি।

বিশুদ্ধ গুড় উৎপাদনে গাছিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, বিশুদ্ধভাবে এই গুড় কেনাবেচা হয়, তৈরি হয়। সেজন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বাজারসহ সবকিছু মনিটরিং করছি। গুড়ের ঐতিহ্য যাতে ঠিকে থাকে, সেজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ করছে।

প্রতি সপ্তাহে দুই কোটি টাকারও বেশি গুড় কেনাবেচা হয় সরোজগঞ্জের হাটে।