৬ রঙের রাজসিক সৌন্দর্যের টিউলিপ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:৫৩ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে ছয় রঙের বিদেশি টিউলিপ ফুল ফুটেছে মো. দেলোয়ার হোসেন মালিকানাধীন মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স বাগানে। এই বছর প্রথম বারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি টিউলিপ ফুল বিক্রি শুরু করেছেন দেলোয়ার হোসেন।
দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ও বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে টিউলিপ ফুলের বাল্ব বিক্রি করেছেন। ছয় রঙের টিউলিপের মেলা এখন দেলোয়ারের বাগানে। এরইমধ্যে দর্শনার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেলোয়ারের এই বিদেশি টিউলিপ ফুল বাগান দেখতে ভিড় শুরু করেছেন।
জানা গেছে, শীতপ্রধান দেশে ফুলটি হরহামেশাই দেখা যায় টিউলিপ ফুল। কিন্তু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশে এর দেখা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। এ বছর তার বাগানে ফুটেছে সাদা, লাল, হলুদ, কমলা, গোলাপি বেগুনিসহ ছয় রঙের রাজসিক সৌন্দর্যের টিউলিপ ফুল।
দেখা গেছে, সারি সারি বেষ্টনী সেডে সাজানো ফুলগুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। বাগানের চারপাশে ঘন জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে টিউলিপ বাগান। গেল এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক ফুটতে শুরু করেছে এই ফুল। টিউলিপ ফুল ফোটাতে দেলোয়ার উচ্চ কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন বলে জানান। ফুলগুলো একটি শেডের নিচে চাষ হচ্ছে। আর চারপাশ ঢাকা ছোট ছিদ্রযুক্ত নেট দিয়ে। পুরো শেডটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করা হয় সূর্যের আলো। এছাড়াও তার বাগানে ফুটেছে বিভিন্ন রঙ-বেরঙের টিউলিপ সারি সারি ফুটে রয়েছে।
মৌমিতা ফ্লাওয়ার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, এ বছর প্রথমবারের মতো টিউলিপ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে। ১২টি জাতের ৬ রঙের টিউলিপ ফুল তার বাগানে ফুটেছে। এ বছর পঞ্চগড় জেলায় ১ লাখ টিউলিপ ফুলের বাল্ব বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ডিসি অফিসে ৬ হাজার, রাজশাহী জেলায় এক সরকারি কর্মকর্তার কাছে ৬ হাজার বাল্ব বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি বছর প্রথমবারের মতো বাজারে ফুল বিক্রি শুরু করা হয়েছে। প্রতিটি স্টিক ৭০-৮০ টাকা ও টপসহ ৩টি ফুল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা বাগানে আসতে শুরু করেছে। গত মাসের ৯ ও ১০ জানুয়ারি তিনি বাগানে টিউলিপ বাল্ব রোপণ করেন। এছাড়াও তার কাছ থেকে নেয়া বাল্ব এ বছর দেশের কয়েকটি জেলায় ছোট পরিসরে প্রথম বারের মতো টিউলিপ ফুল চাষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে টিউলিপ ফুল চাষের আশা জাগছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। নেদারল্যান্ডস এই ফুল রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ দেশে টিউলিপ চাষ করতে যা যা প্রয়োজন, সব ধরনের সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ।
কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, বাংলাদেশে তো গরম আবহাওয়া। তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত সবকিছু মিলিয়ে এ ফুল চাষ বাংলাদেশে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। এত প্রতিকূলতার পরও দেলোয়ার হোসেনের আন্তরিক চেষ্টায় টিউলিপ ফুল ফুটিয়েছে।
