ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৩৩:১২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চলনবিলের সুস্বাদু ক্ষীরা যাচ্ছে সারাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী ক্ষীরার হাট। চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে দিঘরিয়ার ক্ষীরার আড়তগুলো পাইকার ও বিক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে শত শত টন ক্ষীরা। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের উৎপাদিত সুস্বাদু ক্ষীরা রাজধানীসহ যাচ্ছে সারাদেশে। ক্ষীরার আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭৫ টন ক্ষীরা রাজধানীতে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলায় এ বছর ৬৬৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ক্ষীরার। উপযোগী আবহাওয়া থাকায় ক্ষীরার বাম্পার ফলনও হয়েছে। দাম ভাল পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, চলনবিলের উত্তর এলাকার তাড়াশ, নাটোরের সিংড়া ও বগুড়ার শেরপুরের এক ইউনিয়নের কৃষকদের উৎপাদিত ক্ষীরা বেচাকেনার জন্য দিঘরিয়া আড়তটি প্রায় ১৭ বছর আগে চালু হয়।

সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও বগুড়া জেলার ক্ষীরা চাষিরা এখানে বিক্রি করতে আসেন। প্রতিদিন ভোর থেকে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা খিরা আড়তে আনতে শুরু করেন। আর আড়ৎ থেকে জেলাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা ক্ষীরা কিনতে আসেন। প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন খিরা বেচাকেনা হচ্ছে। দুপুরের পর শুরু হয় ট্রাক লোড। প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক প্রস্তুত থাকে। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় বিক্রি।

মহাজনরা ক্ষীরা কিনে ট্রাকে লোড দিতে থাকেন। পাইকারেরা ক্ষীরা ক্রয় করে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক যোগে চলে যায়। এবার এই আড়তগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টন ক্ষীরা যাচ্ছে ঢাকায়। এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক। কেনাবেচার মধ্য দিয়ে ১ বা ২ ঘণ্টার মধ্যে ভরে যায় মহাজনদের আড়ৎ। হাটে প্রচুর ক্ষীরা আমদানি হওয়ায় ওজনের পরিবর্তে বস্তা চুক্তিতে বিক্রি করা হয়। প্রকারভেদে প্রতি ছোট বস্তা ক্ষীরা বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং প্রতি বড় বস্তা বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত। এ হাটটি ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলে এপ্রিল পর্যন্ত।