ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৪৩:২০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ইবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪৭ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রকাশের পরপরই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধুমাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েই নয় বরং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে ঘটা নির্যাতনের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ।

গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়। পরের দিন সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান তিনি। পরবর্তীতে এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। এর পরেই সকল স্তরের মানুষ প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।


সবাই একযোগে সংবাদটি শেয়ারের পাশাপাশি নিজের ভাষায় প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বেশিরভাগ মানুষের দাবী অভিযুক্তদের কেন আটক করে এখনো রিমান্ডে নেওয়া হয়নি! অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছেন, হয়তো তদন্ত কমিটি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে, রিপোর্ট আদৌ আসে কিনা কে জানে? অনেকের অভিযোগ নির্যাতিতরা নয়, নির্যাতনকারীর ছবি পোস্ট করেই সবাইকে কুলাঙ্গার দেখার সুযোগ করে দেয়া হউক।

অনেকেই আবার আক্ষেপ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, হল বা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলেইকি তাদের সকল দোষ মাফ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নামক ফেসবুক পেজ থেকেও ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়। সর্বস্তরের মানুষের একটাই দাবি র‌্যাগিং বন্ধ করা।

এদিকে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও ভুক্তভোগীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে। অপরদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাবাসসুমকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্তকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকেও সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।


অপরদিকে এই ঘটনায় পরপরেই অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল করে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন। একই দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল। এছাড়াও বিচারের দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন।