ঢাকা, বুধবার ২৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:১৯:২৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সংখ্যালঘু-আদিবাসী ভাষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সব ধরনের সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের ভাষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন জাতিসংঘের সংখ্যালঘু বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ফার্নান্দ ডি ভারেনেস।

তিনি বলেন, জ্ঞান, স্মৃতি ও ইতিহাস ভাগাভাগির জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার ভাষা। এটি সম্পূর্ণ এবং সমান অংশগ্রহণেরও চাবিকাঠি। সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শিক্ষায় তাদের ভাষা ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেওয়া এবং সেই ভাষাগুলোতে সরকারি সেবা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ফার্নান্দ ডি ভারেনেস বলেন, সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী উভয়ের জন্য ভাষার অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকারের বিষয়। আমার নিজস্ব ম্যান্ডেটসহ বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়াররা এরই মধ্যে সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী ভাষা শিক্ষা কমানো এবং কিছু ক্ষেত্রে বাদ দেওয়ার সমালোচনা করেছেন। এটি সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের একীভূত করার একটি বৈষম্যমূলক ও ছদ্মবেশী প্রচেষ্টা।

জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ারের কথায়, শিক্ষায় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী ভাষার ব্যবহার কমানো বা বাদ দেওয়ার পরিবর্তে রাষ্ট্রগুলোকে শিক্ষার উপকরণের উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার প্রচারে নিয়োজিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ধারণা, সমাজ ও রাষ্ট্রে মাত্র একটি ভাষা থাকা উচিত। ভাষাগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের সঙ্গে এটি অসঙ্গতিপূর্ণ। তাই বৈশ্বিক ভাষাগত সমৃদ্ধি ও সৌন্দর্য উদযাপনের জন্য এই ধারণা পরিহার করা আবশ্যক।
জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষার দশক হলো বিশ্বের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রচার এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের মানবাধিকার ও ভাষা রক্ষার সুযোগ।