ঢাকা, শুক্রবার ১২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৩১:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ক্রেতা নেই মাংসের দোকানে, হতাশ বিক্রেতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ১০ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই দোকান খুলে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও ক্রেতাই আসেননি দোকানে। দোকানের আশেপাশ দিয়ে গেলেই শোনা যাচ্ছে, ‘অরিজিনাল মাংস স্যার, নিয়ে যান।’

শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর কাজীপাড়া বাজারের চিত্র এটি। সকাল ৮টা ২০ মিনিট থেকে ৯টা পর্যন্ত গরু ও খাসির মাংসের দোকান এবং পাইকারি মুরগির দোকানের সামনে দাঁড়িয়েও কোনও ক্রেতাকে দেখেননি এই প্রতিবেদক।
বাজারদর হিসেবে দেখা গেছে, কাজীপাড়ায় খাসির মাংস এক হাজার ১০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, লাল লেয়ার ২৭০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০, ব্রয়লার ২৫০, কক মুরগি ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খাসির মাংসের দোকানি জামাল বলেন, বাজারে মাংসের দাম বেশি। ক্রেতা একবারে নেই বললেই চলে। আগে ৩/৪টা খাসি জবাই করতাম। প্রচুর ক্রেতা থাকতো। এখন সাহস করে একটি ছোট খাসি জবাই করি। মাঝে মধ্যে সেটিও পরোপুরি বিক্রি করতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, দাম তো আর আমরা বাড়াই না। আমাদের খাসি কিনতেই হয় বেশি দামে। তাই আমাদের করার কিছু থাকে না।

গরুর মাংসের দোকানি বাদল মুন্সি বলেন, এখন সাধারণ মানুষের কাছে টাকা কম। বাজারদর বেশি। আজ দুটি গরু মিলে ৫ মণ মাংস হয়েছে। বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দিয়ে এখানে অল্প এনেছি। একটা সময় প্রতিদিনই ৮-১০ মণ মাংসের ব্যবসা ছিল। সেটা কমে গেছে। আজ বাজারে এখন পর্যন্ত কোনও ক্রেতাই পেলাম না।

মুরগি ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন বলেন, গত ২০-২৫ দিন ধরে মুরগির দাম বাড়তি। গরু-খাসির দাম বাড়তি থাকায় সাধারণ মানুষ এই মুরগিই বেশি কিনত। আগে যে পরিমাণ বেচতাম, গত ২ সপ্তাহে বেচা-বিক্রি তার অর্ধেকে নেমেছে। আজকের বাজারেও আমাদের মুরগি কিনতে হয়েছে ২৩৫ টাকায়। বিক্রি করছি ২৫০ টাকায়। এই ১৫ টাকার মধ্যেই আমার দোকানের যাবতীয় খরচ, আমাদের লাভটা থাকে কই? দোকানে এনে মুরগিকে তো খাবার দিতে হয়, সেটার দাম তো আরও আগে থেকে বেড়েছে।