ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ১৩:২৭:৫২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

৪০ টাকার বেগুন ১২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪২ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান শুরুর আগেই শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে বেগুন, শসা, করলা, কাঁচামরিচ, লেবুসহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম। মাছও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ক্রেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে শরীয়তপুর সদর পালং বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারে ঘুরে জানা যায়, দুদিন আগেও বেগুনের দাম ছিল ৩৫-৪০ টাকা। রোজা শুরুর আগেরদিন দাম বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা দরে। একইভাবে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ৯০-১০০ টাকা হয়েছে। ৪০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে করলার কেজি। লেবুর হালি ৮০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। তবে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ দরে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা দরে।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘যে বেগুন দুদিন আগে ১ হাজার ৭০০ টাকা মণ কিনেছি, সেটাই আজ কিনতে হলো ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দরে।’


ভেদরগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হারুন বেপারী বলেন, ‘কাঁচামরিচ দুদিন আগে কিনেছি ১ হাজার ৭০০ টাকা মণ। এখন কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। আমাদের আসলে করার কিছু নেই।’

একই বাজারের কাঁচামাল পাইকারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার বেপারী বলেন, ‘বাজারের চাহিদা অনুপাতে আমদানি কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। তবে আলু, পেঁয়াজ এসব পণ্যের দাম ততটা বাড়েনি।’


খুচরা ব্যবসায়ী রাজন বেপারী বলেন, ‘কাঁচামরিচ পাল্লা (১০ কেজি) ৮০০ টাকায় কিনেছি। লাভ করতে হলে খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হবে। আর লেবুর আমদানি কম। তাই বেশি দাম দিয়ে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কিনতে হয়। আমরা কী করবো বলেন? বেগুন ও কাঁচামরিচের ওপর ভর করে রমজানে ব্যবসা চলে।’

রোজার জন্য বাজার করতে এসেছেন ভ্যানচালক জামাল সরদার। তিনি বলেন, ‘কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে কিনেছি ৫০ টাকা কেজি। আজ কিনলাম ১২০ টাকায়। গরুর মাংস কেনার টাকা না থাকায় ব্রয়লার কিনতে গিয়ে দেখি সেটাও ২৫০ টাকা কেজি। বেগুনের গায়ে তো আগুন! আমরা গরিব মানুষ এখন কী খাবো? মনে হয় ব্যবসায়ীরাই ইচ্ছা করে বেশি দাম চাচ্ছে।’


এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, প্রত্যেক উপজেলার ইউএনও, এসিল্যান্ড বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন। ন্যায্য দামে পণ্য বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কেউ অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম বেশি রাখলে ও পণ্য মজুত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।