চান্দিনায় টমেটো চাষে স্বচ্ছলতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
কৃষিকাজ করেও যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার রাসেল আহমেদ। নিজ এলাকার এক বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ৪০ শতক জমি বর্গা নিয়ে টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়ে স্বচ্ছলতা এসেছে রাসেলের পরিবারে।
জেলার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামে মাঠজুড়ে দৃষ্টিনন্দন টমেটো ক্ষেত তার। সারিবদ্ধ টমেটো গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত থোকা থোকা টমেটো ধরে আছে। অনেকেই আবার তার টমেটো ক্ষেত দেখতে আসছেন। ক্ষেতে দাঁড়িয়ে কথা হয় টমেটো চাষি রাসেল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বাসসকে জানান, আমার কোনো আবাদি জমি নেই। করোনাকালীন সময় মায়ের দেওয়া ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ৪০ শতক জমি বর্গা নিয়ে প্রথম টমেটো চাষ শুরু করি। প্রথম বছর ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করে লাভ হয় ৬০ হাজার টাকা। পরের বছর ২০২২ সালে দ্বিগুণ লাভ করেন। চলতি বছরে তিনগুণ লাভের মুখ দেখেন রাসেল। এ বছর তিনি ৫০ একর জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছেন। আড়ৎদারদের কাছে প্রতি কেজি টমেটো এখন গড়ে ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এবছর খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন, এখন দাম কিছুটা কম হলেও জমিতে যে পরিমাণ টমেটো আছে, তাতে বাজার মূল্য ঠিক থাকলে আরও দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে। রাসেল আহমেদ জানান, এক বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ও মায়ের সহযোগিতায় টমেটো চাষে আমার পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, পরিশ্রম দিয়ে যে কেউ নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে রাসেল তারই প্রমাণ। চাষিরা যাতে আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হতে পারেন সেজন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হয়।
