ঈদ কেনাকাটায় যমুনা ফিউচার পার্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ২১ মে ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৩:৩২ পিএম, ২২ মে ২০১৮ মঙ্গলবার
ঈদবাজারে নতুন মাত্রা এনেছে দেশের বৃহত্তম মার্কেট যমুনা ফিউচার পার্ক। এ উপলক্ষে নিত্যনতুন পোশাক নিয়ে ঝলমল সাজে এখন মার্কেটের দোকানগুলো। আন্তর্জাতিক মানের এই বিশাল শপিংমল ঘুরে দেখা গেল ঈদের কেনাকাটায় ক্রমশ ভিড় করছেন ক্রেতারা।
মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ক্রেতারাই এ মলে আসছেন বেশি। আজ এ মার্কেটে আসা ক্রেতাদের অনেকেই নতুন কাপড় কেনার চেয়ে দেখাদেখিতেই ব্যস্ত। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে বিক্রেতারা আধুনিক সব পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন। ধীরে ধীরে জমে উঠছে মার্কেট। রোজার আজ চতুর্থ দিন। কিন্তু বিকিকিনিতে খুশি নন বিক্রেতারা। তাদের মতে দর্শনার্থীর তুলনায় বিক্রি কম।
বিভিন্ন ব্রান্ডের শো-রুম রয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কে। এসব শো-রুমের কর্মকর্তারা জানান, দেশের সবচেয়ে অভিজাত এবং অত্যাধুনিক শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক। অথচ সে অনুপাতে বিক্রি এখনই শুরু হয়নি। তবে বিক্রেতাদের আশা ঈদ যতো ঘনিয়ে আসবে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়বে।
ইনফিনিটি মেগা মলের বিক্রেতা শাহীন খান বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্রান্ডের শো-রুম বা শাখা একই ছাদের নিচে হওয়ায় দর্শনার্থী বেশি। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা অনেকটাই কম। তার কথার সঙ্গে সুর মিলান আড়ং-এর বিক্রেতা পারভীন শায়লা মিতা।
তিনি আরো বলেন, রোজায় আমাদের অন্যান্য শাখার চেয়ে এই শাখায় বিক্রি এখনও কম। ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু পোশাকে ভিন্নতা এনেছি। তারপরও তেমন সাড়া পাচ্ছি না। দেখা যাক, পনেরো রোজার পর ক্রেতা বাড়বে। মূলত ঈদ বোনাস হাতে এলে ক্রেতারা কিনতে শুরু করবেন।
তিনি জানান, তাদের শোরুমে কটনের তৈরি মেয়েদের জামা, থ্রি-পিস ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিন্ম ২০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার টাকায়। ঈদের এক্সক্লুসিভ পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে ৭০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। মেয়েরা এবার বেশিরভাগ সুতির সালোয়ার কামিজ বেশি পছন্দ করছে।
এ মার্কেটে রয়েছে দেশের প্রায় সব বড় বড় ফ্যাশন হাউস, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকানসহ রয়েছে বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের আউটলেট। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের ডিসপ্লে উইন্ডোতে তুলেছে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক, জুতাসহ অন্যান্য সামগ্রী।
মার্কেটের নিচতলায় জেন্টেল পার্ক, খান্নানি ব্রাদার্স, গো গ্রাসি, আড়ং, ইনফিটিনিটি, ক্যাটস আই, নবরূপা, সাদাকালো ইত্যাদি দোকানগুলোতে ক্রেতা টানতে বিক্রয়কর্মীরা রোজা আরম্ভ হওয়ার পরও ব্যস্তÍ সময় কাটাচ্ছেন। মার্কেটের দোতলার ইয়েলো, এক্সটেসি, রিচম্যান, স্টেশন ২১ ও মডসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতেও হালফ্যাশনের পোশাকের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। মার্কেটের জুতার দোকানগুলোর মধ্যে বাটা, গ্যালারি এপেক্স, জিলস, লট্টোতে ক্রেতাদের হালকা ভীড় লক্ষ্য করা গেল।
এই মলে শপিং করতে আসা এআইইউবির ছাত্রী পাপিয়া খন্দকার জানান, এখন বাইরে রোদ, বৃষ্টি একটা না একটা লেগেই থাকে। তাই এখানে আসা। তাছাড়া এখানে সব লেটেষ্ট ব্র্যান্ডের সবকিছু পাওয়া যায়। আগে ঘুরি। পছন্দ হলে সবই কিনব।
মার্কেটের বেশ কয়েকটি আউটলেটে সব বয়সী মানুষের জন্য সব ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। নির্দিষ্ট দামে বিক্রি হলেও নেই কোনো মূল্য ছাড়। বরাবরের মত সময়ের সাথে সাথে দর্শনার্থীর পাশাপাশি বেচাকেনাও বাড়বে বলে বিক্রেতারা আশা প্রকাশ করে সে প্রহর গুণছেন।
