ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:০১:২৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ফুডপান্ডাকে আইনি নোটিশ, হবে মামলাও

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ১০ মে ২০২৩ বুধবার

ফুডপান্ডার লোগো

ফুডপান্ডার লোগো

অনলাইন ফুড সার্ভিস ফুডপান্ডাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৯ এপ্রিল তিনি এ নোটিশ পাঠান। নোটিশের জবাব না পেয়ে ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে এবার মামলা করতে যাচ্ছেন তিনি।

আজ বুধবার ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনারা জানেন, ফুড পান্ডা পুরো ঢাকা শহরে খাবার ডেলিভারির কাজ করে থাকে। আমরা গত ৯ এপ্রিল তাদের নিরাপত্তাবিষয়ক কিছু তথ্য চেয়ে একটি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠিয়েছি। যার আজ পর্যন্ত তারা কোনো উত্তর দিতে পারেননি।’

কেন আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন, এর ব্যাখ্যায় সুমাইয়া আজিজ বলেন, ‘আমাদের বিষয় ছিল যে ওনারা যে ডেলিভারিম্যান বা রাইডারদের নিয়োগ করছে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক কীভাবে করছেন? ডেলিভারিম্যান বা রাইডারদের কোনো তথ্য কাস্টমারদের কাছে তারা দেন না। আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে এটি।’

দ্বিতীয় সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে ডেলিভারিম্যান বা রাইডারদের মাধ্যমে যদি কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় তবে আপনি কখনোই সেই ফুডপান্ডাকে খুঁজে পাবেন না আপনার সমস্যা বলার জন্য। ওনাদের একটি চ্যাটবক্স আছে সেখানে লিখে রাখলে তারা তাদের সময় মতো আপনাকে রিপ্লাই দেবে। আমাদের মতে, কোনো ডেলিভারিম্যান বা রাইডার যদি গুরুতর কোনো অপরাধ করে সেই মুহূর্তে জরুরি সেবা হিসেবে ফুডপান্ডার কোনো সার্ভিস নেই।’

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ বলেন, ‘গত ৯ এপ্রিল ফুডপান্ডার একজন ডেলিভারিম্যান আমাদের খাবার ডেলিভারি দিতে এসে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি কি নিয়ে পালান বা কেন পালান এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চেয়ে তাকে ফোন দেওয়া হলে আমাদের নম্বর তিনি ব্লক করে দেন। এ বিষয়ে ফুডপান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে..., তাদের কাস্টমারের জন্যে শুধু একটি চ্যাটবক্স রয়েছে। যেখানে আমরা কাস্টমাররা কিছু লিখে রাখলে তারা তাদের সময়মত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’

এ আইনজীবী বলেন, ‘এটা যেহেতু ক্রিমিনাল অফেন্স তাই আমরা চ্যাটবক্সের মাধ্যমে তাদের জানাই যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। চ্যাটবক্সে এ ধরনের ক্রিমিনাল অফেন্স নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব না। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে আমাদের প্রায় ১ থেকে ২ কোটি মানুষ বসবাস করে, সেখানে ফুডপান্ডার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। অনেক পরিবারই আছে যাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করছেন, বাচ্চার জন্যে বা বৃদ্ধ বাবা-মার জন্য ফুডপান্ডায় খাবার অর্ডার দিয়ে খালি বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নিরাপত্তা কী? এর কোনো জবাব বা সঠিক কোনো তথ্য ফুডপান্ডা আমাদেরকে দিতে পারেননি।’

ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ বলেন, ‘আমরা তাদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে যখন লিগ্যাল নোটিশ দিই তার জবাবে তারা উকিলের মারফত ১৪ দিনের সময় চান। গত ১৬ এপ্রিল তারা এই সময় চান। তবে ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো উত্তর আমরা পাইনি। পরে তাদের আরও তিন দিনের সময় দিয়ে রিমাইন্ডার দেওয়া হয়। সেটিরও তারা কোনো উত্তর দেননি।’

এখন কী করবেন আপনারা- এমন প্রশ্নের জবাবে এ আইনজীবী বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে মামলায় যাব। যেহেতু উনাদের ডেলিভারিম্যান... আমি একটু আগে যেটা আপনাদের উল্লেখ করলাম।আমাদের ক্রিমিনাল ল হিসেবে এমডি (ফুডপান্ডার) থেকে শুরু করে, ডিরেক্টর পদ থেকে সবাই প্রিন্সিপল ল অনুসারে ওনারা সবাই কিন্তু চুরির মামলার (আসামি) শামিল।’

তিনি বলেন, ‘কারণ ওনার রাইডার যে টাকা নিয়ে চলে গিয়েছেন এবং ওনার রাইডার যে টাকা ফেরত দেননি এগুলো কিন্তু ওনারা নিজেরা স্বীকার করেছেন। সেটা রিফান্ড (ফেরত) করতে চেয়েছেন, চ্যাটবক্সের মাধ্যমে। সেগুলো সব রেকর্ডেড আছে, আমাদের কাছে ডকুমেন্টেসের এভিডেন্স আছে। আমাদের যে এভিডেন্স আছে, এটা ওনাদেরকে জানিয়েছি যে চ্যাটবক্সের স্ক্রিনশট আমাদের নেওয়া আছে। আমরা অবশ্যই এটাতে মামলাতে যাব।’