ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২৭:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করলেই ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৮ পিএম, ১১ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ট্যারিফ কমিশনের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বেশি দরে চিনি বিক্রি করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। এরপরও বাজারে বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করা হলে আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রশাসন অ্যাকশনে যাবে।


বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুদিন হলো দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। যদি সেভাবে বিক্রি না হয়, তাহলে ভোক্তা অধিকার তো আছেই। সমস্যা হচ্ছে, আমরা খুব বেশি চাপ দিলে বাজার থেকে পণ্য উধাও হয়ে যায়। তখন উভয় সংকটে পড়ে যাই। তাই, বৈশ্বিক বাজার বিবেচনায় নিয়ে আমরা একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, গত ১৫ থেকে ২০ দিনে বৈশ্বিক বাজারে চিনির দাম টনপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ ডলার করে বেড়েছে। আমাদের ৯৯ শতাংশ চিনি আমদানি করতে হয়। এ সব কারণে বিদেশের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেশি। বৈশ্বিক দাম বাড়লে আমাদের ওপর প্রভাব পড়বেই। আবার কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সুবিধাও নেয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনির দাম (খোলা) ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির (প্যাকেটজাত) দাম ১২৫ টাকা করা হয়েছে। আগে খোলা চিনির দাম ছিল ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল ১০৯ টাকা।

বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সচিব বলেন, চিনির জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে। কমানোর পরও দাম অতটা কমানো যাচ্ছে না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে ডলারের দামও। এ ছাড়া দেশের মধ্যে পরিবহন খরচও কিছু বেড়ে গেছে। এর কারণেই দামে প্রভাব পড়ছে। তবে এ বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেখছে।

চিনির জন্য যে ট্যারিফ হার কমানো হয়েছে, সেটি ৩১ মে পর্যন্ত বহাল আছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘ট্যারিফ হার আরও কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি দেয়া হবে। কারণ, গত বছরের তুলনায় চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে। তবে এনবিআর স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা করে দেখবে যে রাজস্ব ঘাটতি কতটা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকে। রাজস্ব আদায় না হলে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্যারিফ নির্ধারণের বিষয়টি এনবিআর দেখে থাকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি বেড়ে গেলে এনবিআরকে শুল্ক কমানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। এনবিআর পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন সময় শুল্ক কমিয়ে থাকে।