ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:০৬:১৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পাটের আবাদ বেড়েছে গোপালগঞ্জে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ২৯ মে ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

চলতি খরিপ-১ মৌসুমে গোপালগঞ্জে ২৮৬ হেক্টরে পাটের আবাদ বদ্ধি পেয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালকের দপ্তর জেলার ৫ উপজেলায় ২৪ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।  সরকারি প্রণোদনা পাট বীজ পাওয়ার পর আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে ছিল। তাই জেলার কৃষক ২৪ হাজার ৩৯৬ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছে। বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় কৃষক পাট চাষ বৃদ্ধি করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫ হাজার ১২৫ হেক্টর, মুকসুদপুরে ৮ হাজার ৫০৫ হেক্টর, কাশিয়ানীতে ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর , কোটালীপাড়ায় ৮৫০ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়ায় ১ হাজার ৫১০ হেক্টর সহ মোট ২৪ হাজার ১৪০ হেক্টর  জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
কৃষক গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫ হাজার ১৮৩ হেক্টর, মুকসুদপুরে ৮ হাজার ৫৯৪ হেক্টর, কাশিয়ানীতে ৮ হাজার ১৮০ হেক্টর , কোটালীপাড়ায় ৮৮৯ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর সহ মোট ২৪ হাজার ৩৯৬ হেক্টরে পাটের আবাদ হয়েছে।
আবাদকৃত পাটের জাতের মধ্যে  দেশিপাট ২৫ হেক্টরে, তোষাপাট ২৩ হাজার ৮১৬ হেক্টরে ও মেস্তাপাট ৫৫৫ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। জেলায় পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, চলতি খরিপ মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলার  ৫ উপজেলার ১৮ হাজার কৃষককে পাটে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাজারে পাটের দাম ভালো রয়েছে। আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় কৃষক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮৬ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বৃদ্ধি করেছেন। ২৪ হাজার ৩৯৬ হেক্টর জমিতে ৫১ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন উৎপাদিত হবে বলে ওই কৃষি কর্মকর্তা জানান।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক ছাব্বির হোসেন (৩৫) বলেন, আমি গত বছর ২ একর জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। বাম্পার ফলনের পর পাটের ভালো দাম পেয়েছিম। এ বছর কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনার পাট বীজ পেয়েছি। আবহাওয়া পাট চাষের পক্ষে ছিল। তাই এ বছর ৩ একর জমিতে পাটের আবাদ করেছি। ক্ষেতে পাটের অবস্থা ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এ বছর পাট বিক্রি করে লাভের অন্তত দেড়  লাখ টাকা ঘরে তুলতে পারব।
মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা গ্রামের পাট ব্যবসায়ী সজল সাহা বলেন, পাটকলগুলো প্রতিযোগিতা করে পাট কিনেছে। তাই  কৃষক গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়েছেন। এখনো বাজারে পাটের ভালো দাম রয়েছে। এ কারণে কৃষক পাটের আবাদ বৃদ্ধি করেছেন। এ বছরও কৃষক পাটের ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি।