ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ০:২৮:৪১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কুরুশ কাঁটার বুননে ঘুরেছে রিবানার ভাগ্যের চাকা

মাজেদুল হক তানভীর

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:০৪ এএম, ২৯ মে ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:০৯ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮ শনিবার

রিবানা হক

রিবানা হক

বাংলাদেশে নারীরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন। আজ সমাজের সর্বক্ষেত্রে তাদের বিচরণ। এর মধ্যে অনেক নারী স্বনির্ভরতার জন্য চাকরি করছেন। আর কিছু নারী এগিয়ে আসছেন ব্যবসা পেশায়। নানা প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। উদ্যোক্তা হয়ে পরিবর্তন করেছেন নিজের ভাগ্যের চাকা।

পোশাকে কুরুশ কাঁটা বুননের ব্যবহার পুরোনো হলেও বর্তমান সময়ে হারিয়ে যাচ্ছে এর ব্যবহার। তবে বর্তমানে কুরুশ কাঁটার বুননের মাধ্যমে চোখ ধাঁধানো নানা ডিজাইনের পণ্য তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রিবানা হক। বুনন শিল্পের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করা এই নারী তার সাফল্য ও জীবনসংগ্রামের কথা জানান উইমেননিউজ-কে।

১. কেমন আছেন?

- ভালো।

২. লেখাপড়া করেছেন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর কোন বিভাগ থেকে?

- স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগ থেকে।

৩. এত পেশা থাকতে বুননকেই বেছে নিলেন কেন?

- মূলত শখ থেকেই এই কাজ শুরু। পরে যখন দেখি সবার সাড়া পাচ্ছি এবং আমার এখানে অন্যান্য মেয়েরা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে তখন থেকেই বুননে পূর্ণ মনোযোগী হই।

৪. বুনন শিল্পের সঙ্গে কত দিন ধরে আছেন?

- সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বুননের কাজ করছি।

৫. শুরু কবে থেকে আর কীভাবে?

- ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করি। শুরুতে তেমন কোনো পরিকল্পনা করিনি। ছোটবেলা থেকে সেলাই করতাম, পরে ভাবলাম অনলাইনে একটা পেজ খুলি। তখন আমি স্নাতকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। ধীরে ধীরে দেখি রেন্সপন্স পাচ্ছি। এভাবেই শুরুটা।

৬. কতজন কর্মী দিয়ে শুরু?

  • মাত্র দুজন মেয়ে আর এক হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করি।

৭. বতর্মানে কতজন কর্মী কাজ করছে??

- বর্তমানে ৩৫ জন মেয়ে কাজ করছে। আমার এখানে সব কর্মী-ই নারী।

৮. কোনো ঋণ সুবিধা কি পেয়েছিলেন?

- শুরুতে কোনো ঋণ ছিল না। তবে চলতি বছর মে মাসে শপআপ-এর মাধ্যমে ছোট একটা ঋণ নিয়েছি।

৯. শপআপ কি?

- শপআপ হলো ক্ষুদ্র ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্স সেবা প্রদানকারী একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান।

১০. ক্রেতা কারা?

- যেহেতু আমাদের কোনো শোরুম নেই তাই এখন পর্যন্ত অনলাইনে বেশি বিক্রি হয়। অল্প কিছু পণ্য দেশের বাইরে গেছে। বেশিরভাগ নারী ক্রেতা আমাদের।

১১. কী ধরনের বাধার মুখোমুখি হয়েছেন? আর সেগুলো সমাধান করলেন কীভাবে?

- ছাত্রী থাকা অবস্থায় যেহেতু কাজ শুরু করি তখন অনেকেই ভালোভাবে বিষয়টি গ্রহণ করেনি। পড়াশুনার পাশাপাশি কাজ করতেও কষ্ট হতো। তবে যতই সময় গেছে ততই সবাই উৎসাহ দিয়েছে। এক পর্যায়ে পথটাও মসৃণ হয়েছে।

১২. যেসব মেয়েরা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?

- নিজের ভালো লাগাকে মূল্যায়ন করা আর সেই কাজের সাথে লেগে থাকা। জীবনে চলার পথে অনেক বাধা আসবেই, নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে বাধাগুলোকে জয় করা।