ঢাকা, শনিবার ১৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৬:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মন যে এবার গয়নার দিকে

সালেহীন বাবু

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ৩০ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ৩১ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কবি মনের আকুতি প্রকাশ পায় নারীর সৌন্দর্য্য। আর সেই রুপের স্তুতি বহুগুন বাড়িয়ে দেয় গয়না। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার পর্বে চলছে গয়না কেনার ব্যস্ততা। এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি গুরত্ব পাচ্ছে নতুন নতুন গয়নার ডিজাইন আর মেটেরিয়াল। ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে গয়নার কদর থাকবে এবার ঈদে সবচেয়ে উঁচুতে।

 

গয়নার দোকানে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। নিজের রুচি ও সাধ্যের মধ্যে আকর্ষনীয় গয়নাটি নিজের জন্য কিনতে অনলাইন তো বটেই মার্কেটেও ছুটে যাচ্ছেন সব বয়সী নারীরা। এক কথায় ঈদকে ঘিরে জমজমাট গয়নার বাজার।


একসময় গয়না মানে ছিল সোনা বা রূপার কারুকাজ। চলতি ফ্যাশনে গয়না শুধু দামি ধাতু বা ডিজাইনে সীমাবদ্ধ নেই। যুগের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়নায় এসেছে রং, নকশা, উপাদানের পরিবর্তন। ফলে হালকা ধরনের সোনালি, অ্যান্টিক বা কপার রঙের মেটালের এসব গয়না কিশোরী থেকে পরিণত বয়সের যে কেউই সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

 

এখন কাঠ, কড়ি, মাটি ,ধাতু, জার্মান রুপা, পুঁতি, হাড়, পাখির পালক, কাপড়, পমপম দিয়ে নিজস্ব মহিমায় তৈরি হচ্ছে গয়না। দেশীয় সাজের এসব গয়না , কাপড়ের তৈরি মালা, ইয়ক দিয়ে কাপড়ের চন্দ্র হার, হ্যান্ড পেইন্ট, রিক্সা আর্ট, বিডস এমনকি সুতার কাজও করা। ফ্যাশন জুয়েলারি নামে কাঠ, সুতা, হালকা ধাতু, রঙিন বিডস ছাড়াও বিভিন্ন গাছের বীজ দিয়ে তৈরি গয়না রয়েছে শৈলীতে। আনারকলি, পদ্ম, তাজমহল বাদ পড়ছেনা না রিক্সা আর্টও।

 

আদী আমলের মকরমুখী বালা, পাতলা পাতের হার কাটাইয়ের কাজ করা গয়না এখন তৈরি হচ্ছে মেটেলে। হালকা পাতলা এ গহনাগুলোর সোনালি রং চোখ জুরিয়ে যায়। আজ নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, গাউছিয়ার বাজার ঘুরে এবারের গয়নার চলতি ধারার নকশা সম্পর্কে এরকম ধারণা পাওয়া গেল। বাজার ঘুরে দেখা গেল শুধু তরুণীরা নয়, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীরাই কিনছেন গয়না। তবে এবারের ঈদে গোল্ড প্লেটের গয়নার চাহিদা বেশি।


গুলশান, বনানী, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, চন্দ্রিমা, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট ঘুরে জানা গেল, এসব জায়গায় ৫০ বা ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ বা ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যেই দুল, আংটি, চোকার, হার, লকেট এসব পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া স্টোনের চুড়ি ৫০০-১০০০ টাকা, কানের দুল ১০০-৪০০ টাকা, মেটালের ট্রেডিশনার ভারী সেট ৪০০-৪০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

দোকানিরা বলছেন, তাদের কিছু এক্সক্লুসিভ কালেকশন রয়েছে যেগুলোর দাম বেশি। তারা ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড এমনকি আদিবাসী গয়নাও নিয়ে আসেন। দোকানিরা জানান, মেয়েরা এমন গয়না চায় সব ছাপিয়ে যা সবার নজর কাড়বে। দাম খুব বেশি না হলেও আগের তুলনায় অনেক কিছুর দাম বেড়েছে। কারণ ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব।

 

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে মাহিমা চৌধুরি মেয়ের জন্য গয়না কিনতে এসেছেন। বলেন, ঈদে সুন্দর কিছু কালেশন থাকে দোকানে তাই মেয়ের জন্য কিনে রাখলাম। চাঁদনীচকের দোকান ঘুরে গয়না কিনছিলেন দুই বোন সাথী আর মিতু। সাথীর পছন্দ স্টোনের চুড়ি এবং কাঠের গয়না আর মিতুর পছন্দ মেটালের ট্রেডিশনার ভারী সেট। দুজনেই দরদাম করে জিনিস কিনছেন।তবে স্বর্ণ কিনছেন অনেক কম ক্রেতাই। যদিও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে।

 

স্বর্ণ ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, ঈদের সোনার গয়নার চাহিদা রয়েছে। এ সময়ে বেশ কিছু টাকা একসাথে হাতে আসে তাই সোনা কেনার ক্ষমতা হয় অনেকের। আবার কেউ কেউ আছে যারা ঈদের সোনার গয়না কিনবেন বলেই সারাবছর টাকা জমান। তবে কিছু বাঁধা ক্রেতা যারা সবসময় কেনেন তারাই মূল ক্রেতা, নতুন মানুষের সংখ্যা অনেক কম।



সৌন্দর্য্য ও ফ্যাশনের প্রয়োজনীয় উপকরণের অনবদ্য জিনিস গয়না। ঈদ উপলক্ষে সবথেকে সুন্দর গয়নাটাই নিজের কালেকশনে রাখতে আর দেরি না করে এখনি বেড়িয়ে পড়ুন অভিনব ও মানানসই গয়নার খোঁজে।