ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:২৮:০৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আমদানির খবরে কাঁচা মরিচের দাম কমলো ১২০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪৩ পিএম, ২ জুলাই ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে কাঁচা মরিচের কেজিতে ১২০ টাকা কমেছে। একদিন আগেও ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্যটি আমদানি হতে পারে এমন খবরে দাম কমেছে। তবে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।

হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কাঁচা মরিচের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী তাতে গত কয়েকদিন ভয়েই কিনিনি। আজ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপর ক্রেতা নারগিস সুলতানা বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অন্য সব পণ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। দাম বাড়তে বাড়তে ৫০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আজকে কিছুটা কমেছে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ জানান, বিভিন্ন কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এদিকে আমদানি ও সরবরাহও বন্ধ। এতে পণ্যটির দাম বেড়েছে। তবে গত কালের চেয়ে আজ মোকামে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কম। দেশীয় কাঁচা মরিচের পাশাপাশি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, সরবরাহ কমে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ২৫ জুন আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের সাত আমদানিকারক তিন হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পায়। আইপি হাতে পেয়ে এলসি খুলে আমদানিকারকরা ভারতীয় রফতানিকারককে কপি দেওয়ায় দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধের পর ২৬ জুন থেকে আমদানি শুরু হয়। তবে একদিন পরই ঈদের ছুটির ফাঁদে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ছুটি শেষে আজ থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু হওয়ায় ওই সব বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আসছে। এতে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে পারে। সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আসা যাওয়া শুরু হবে। তবে ঈদের আগে বন্দর দিয়ে পাঁচ ট্রাকে ২৭ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। যা আমরা বন্দরে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম। ভারতেই বর্তমানে পাইকারিতে কাঁচা মরিচ ১৪০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে পরিবহন ও আমদানি খরচ মিলে ২৪০ টাকার মতো পড়বে। যার কারণে ২৫০ টাকার নিচে বিক্রি সম্ভব নয়।