জাপানে গর্ভবতী ১২২ তিমি হত্যা
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ৩১ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৪০ এএম, ২১ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার
জাপানে ‘গবেষণা’ কাজে ব্যবহার করতে কমপক্ষে ১২২টি গর্ভবতী তিমিকে হত্যা করা হয়। গত বছর গ্রীষ্মে দক্ষিণ মহাসাগরে এই ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় উপেক্ষা করে হামেশাই তিমি শিকার করছে জাপান।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ১২ সপ্তাহের এই শিকার অভিযানে মোট ৩৩৩টি মিঙ্ক প্রজাতির তিমিকে ধরা হয়। যার মধ্যে ১৫২টি পুরুষ ও ১৮১টি নারী তিমি।
আন্তর্জাতিক তিমি কমিশনে জমা দেওয়া এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে ১২২ তিমি শিকার করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৬১ পুরুষ ও ৫৩ নারী তিমি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল।
হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের জেষ্ঠ্য প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক অ্যালেক্সিয়া ওয়েলবেলভ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ১২২ টি গর্ভবতী তিমিকে হত্যার পরিসংখ্যান অত্যন্ত ভয়াবহ। এটি জাপানের বিভৎস তিমি শিকারের একটি উদাহরণ। এভাবে গবেষণার নামে তিমি হত্যার কোনো মানে নেই। হত্যা না করেও গবেষণার অনেক উপায় রয়েছে।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালত দক্ষিণ মহাসাগরে তিমি হত্যার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। জার্পা টু নামে পরিচিত জাপানের বাৎসরিক তিমি শিকার অভিযান কোনো গবেষণার জন্য পরিচালিত হচ্ছে না, এটি প্রমাণিত হওয়ার পর এই রায় দেওয়া হয়। তবে আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে জাপান এখনও তিমি শিকার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
জাপানে তিমির তেল এবং মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সুগন্ধি সামগ্রী হিসেবে তিমির তেলের চাহিদা ব্যাপক। জাপানে তিমির মাংস খাওয়াও বৈধ। এক কেজি মাংসের দাম কমপক্ষে ২০০ ডলার।