ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৭:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ক্রিকেটের জন্য পুলিশের চাকরি ছেড়েছেন সুলতানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

অফ-স্পিনের ভেলকিতে নিজেকে বেশ আলাদাভাবেই চিনিয়েছেন সুলতানা খাতুন। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচে মাত্র ৭ গড়ে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। দীপ্তি-শেফালিদের নাস্তানাবুদ করে বিশ্বমানের বোলারদের ছাপিয়ে এই সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি।

তবে তার জীবনের গল্পটা আর দশটা মেয়ে কিংবা ক্রিকেটারের মতো না। পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা, সমাজের চোখ-রাঙানি পেরিয়ে এই জায়গায় এসেছেন যশোরের এই ক্রিকেটার। তার বাবা-মা দুজনেই সরকারি চাকরিজীবী। তাই তাদের চাওয়া ছিল মেয়েও ক্রিকেটে বুঁদ না হয়ে বরং পুলিশের চাকরি করুক।

সুলতানার ভাষ্য, বাবা-মা সরকারি চাকরি করতেন। মা কখনো বাধা না দিলেও বাবা চাইতেন না আমি এত কষ্ট করি। কিন্তু আমার ভেতর জেদ ছিল, নিজে কিছু করব। বাবা পুলিশে ছিলেন, আমাকেও পুলিশে দিতে চেয়েছিলেন। আমার চাকরিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য আমি ওখান থেকে চলে আসি। আমি চাকরি করব না, খেলতে চাই।

একটা সময় সুলতানার অনুশীলনের পরিশ্রম দেখা ক্রিকেট ছাড়তে বলেছিলেন পুলিশ বাবা। তবে সেই বাবাই এখন তাকে অনুশীলনে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন। কারণ, সুলতানা এখন জাতীয় দলে থিতু হয়েছেন।

সুলতানার মন্তব্য, সব থেকে বড় কথা একদিন আব্বু আমাকে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করছিল, এখন তিনিই আমাকে অনুশীলনে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন। এটাই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। আমাকে সবাই এখন সাপোর্ট দেয়।

এই ক্রিকেটার আরও যোগ করেন, ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে ফরে বাড়িতে যাওয়ার পর আমাকে আমার পরিবার ফুল দিয়ে গাড়িতে করে বরণ করেছে। আমি এত কিছু আশাও করিনি। পুরো গ্রামের সবাই মিলে যা করেছে অনেক অনেক অবাক হয়েছি।