শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ড্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৬:২৪ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৩ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খেই হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় টাইগ্রেসরা। অবশ্য তৃতীয় ওয়ানডেতে নতুন ইতিহাসের সামনে ছিলেন নিগার সুলতানারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় ভারতের মেয়েরা। এ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানেই থেমে যায় সফরকারীরা। এতে ১-১ সমতায় শেষ হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি।
বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ভারত। এদিন সফরকারীদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে উইকেট বিলিয়ে দেন শেফালি (৪)। দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নিয়ে তাকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান মারুফা আক্তার।
এরপর ক্রিজে আসেন যশতীকা ভাটিয়া। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১ বাউন্ডারিতে ৫ রান করেন এ ব্যাটার।
ম্যাচের শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে ভারত। তবে সেই চাপ সামলে মান্ধানা-দেওল জুটিতে এগোতে থাকে সফরকারীরা। অবশ্য ম্যাচের ২৯তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন ফাহিমা খাতুন। এতে ভাঙে দেওল-মান্ধানার ১০৭ রানের জুটি।
পরে উইকেটে আসেন ভারতের দলপতি হারমানপ্রীত কৌর। কিন্তু উইকেটে সেট হওয়ার আগেই উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২১ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
এরপর দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। এ সময়ই মিরপুরে হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। এজন্য কিছু সময় ম্যাচটি বন্ধ ছিল। তবে বৃষ্টি থামতেই আবারো খেলা মাঠে গড়ায়।
বৃষ্টির পর মাঠে নেমেই ফাহিমার থ্রোতে কাটা পড়েন হারলীন দেওল। একই ওভারের শেষ বলে রান আউটের শিকার হন দীপ্তি শর্মাও। তবে টাইগ্রেসদের বোলিং তোপ সামলে দলকে জয়ের বন্দরে এগিয়ে নিতে থাকেন জেমিমাহ। তবে ম্যাচের রোমাঞ্চ তখনও বাকি।
ম্যাচের ৪৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন নাহিদা আক্তার। আক্রমণে এসেই স্নেহ রানা ও দেভিকা বৈদ্যকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এতে ম্যাচে নাটকীয়তার মোড় নেয়।
১২ বলে যখন ৯ রান প্রয়োজন তখন বোলিংয়ে আসেন সুলতানা। তবে ওভারটিতে ৬ রান দিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ খানিকটা ম্লান করে দেন তিনি। তবে কে জানতো শেষ ওভারেও রয়েছে দারুণ রোমাঞ্চ।
ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়া মারুফা আসেন শেষ ওভারে। ৬ বলে প্রয়োজন ৩ রান। উইকেটে তখনও দাঁড়িয়ে আছেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। তবে সব কিছু ভুলে গতির ঝড় তোলেন মারুফা। কিন্তু প্রথম দুই বলে দুই রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে ফেলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। তৃতীয় বলেই মেঘনা সিংকে জ্যোতির তালুবন্দী করেন এ পেসার। আর তাতেই ইতিহাস গড়েন টাইগ্রেসরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন নাহিদা আক্তার।
