ঢাকা, মঙ্গলবার ২১, মে ২০২৪ ২:৪৫:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম নজির স্থাপন করলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৯ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।  ফাইল ছবি।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। ফাইল ছবি।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে ২৬৬টি মামলা নিষ্পত্তি করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। গতকাল বুধবার চেম্বার কোর্টের কার্যতালিকায় ২৬৬টি মামলা শুনানির জন্য ছিল। এসব মামলা মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় পক্ষদ্বয়ের শুনানি নিয়ে নিষ্পত্তির আদেশ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

এসব মামলার মধ্যে রয়েছে হাইকোর্টের বিভিন্ন রায় ও আদেশের বিষয়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষে আনা মামলা। এর মধ্যে সিভিল, ক্রিমিনাল, রিটসহ বিভিন্ন মামলা ছিল।

মামলা নিষ্পত্তির এ নজির বিষয়ে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একজন কর্মঠ বিচারকের একটা প্রকৃত উদাহরণ। অন্যরা এর থেকে অনুপ্রাণিত হবেন নিশ্চয়ই। এটাই প্রত্যাশা থাকবে। 

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য এটি উদাহরণ হয়ে থাকবে যে, মামলার জট কমাতে এভাবে কাজ করা যায়। চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। ফলে মামলার জট হ্রাসের পাশাপাশি বিচারিক কাজে গতিশীলতা বাড়বে।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন বলেন, আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে এক কার্যদিবসে এতো পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম নজির স্থাপন করেছেন। এ ধরনের নজির বিচার বিভাগের মামলা নিষ্পত্তিতে গতিশীলতা আনবে। এতে বিচার প্রার্থী ও আইনজীবী উভয়ই উপকৃত হয়েছেন। পাশাপাশি মামলা জট কমার সাথে উচ্চ আদালতের ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পাবে।  

বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব মামলার উপর শুনানি নিয়ে আদেশ দেন চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে একদিনে এক হাজারের অধিক মামলা নিষ্পত্তি করে নজির সৃষ্টি করেছিলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে হাইকোর্ট বিভাগে বিভিন্ন বেঞ্চে মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তিতে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভের পর চেম্বার কোর্ট বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে মামলা নিষ্পত্তিতে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

আইনজীবীরা এতে তার প্রশংসা করে আশা প্রকাশ করেন যে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা নিষ্পত্তিতে এটি গতিশীলতা আনবে। ফলে মামলা জট পর্যায়ক্রমে কমে আসবে।