ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯:৪৪:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মূল্য নির্ধারণের পরও দাম কমছে না নিত্যপণ্যের, ভোগান্তি জনগণের

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ডিম, তেল, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আজ থেকে নতুন নির্ধারিত দামে বিক্রি হবে এসব নিত্যপণ্য। খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আলু ৩৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হবে ১৬৯ টাকা।


ব্যবসায়ীদের কারসাজি রুখতে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারণ করার পরও এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমছে না। এতে করে ভোগান্তি কমছে না সাধারণ জনগণের।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোনো একটি পণ্যও বিক্রি হচ্ছে না। আগের দামেই ভোক্তা পর্যায়ে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব প্রজাতির মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে আদার দাম। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আদার দাম ওঠানামা করছে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো টাকার মধ্যে। স্বস্তি নেই গরুর মাংস, মুরগী ও মাছের বাজারেও। এ ছাড়া দিন দিন নাগালের বাইরে যাচ্ছে সবজির দাম।

ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

২০ টাকা বেড়ে সোনালি ৩৪০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০-১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, আমাদের দাম বাড়ানোর কিছু নেই। আমরা প্রতিদিন পাইকারি বাজার থেকে মুরগি কিনে এনে বিক্রি করি।

তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমরাও বাড়িয়ে বিক্রি করি, কমলে কমিয়ে দেই। গত সপ্তাহে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।

ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার মূল্য নির্ধারণ করার পরও দাম কমছে না। বরং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। ক্রেতাদের জিম্মি করে তারা ব্যবসা করছেন। কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেন।

বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।