ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ৬:১১:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চাঁন রাতের বিকিকিনি, আনন্দে উত্তাল সবাই

সালেহীন বাবু

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:৫৭ এএম, ১৬ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:৫৪ এএম, ২১ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার

শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় চাঁন রাতে রাজধানী আজ নির্ঘুম সময় পার করছে। এখন রাত ১টা বাজলেও রাজধানীর মার্কেগুলো দেখে মনে হচ্ছে বিকিকিনির এই তো সবে শুরু। রাজধানীতে সবাই মেতে উঠেছে ঈদের আনন্দে। শেষ রাতের কেনাকাটায় সরগরম হয়ে উঠছে নগরীর বাজার আর শপিং সেন্টারগুলো।

 

 

অন্যান্য দিনের কোনাকাটা থেকে চাঁন রাতের কেনাকাটা অনেকটাই ভিন্ন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই সবাই এই রাতের আগেই ঈদ মার্কেট করে ফেলে। তারপরেও অনেকে মার্কেটে এসেছেন আবার নতুন করে কিছু কেনার জন্য, অনেকে আবার সারারাত মার্কেটে ঘুরবেন। এ যেন এক উৎসবের নগরী। অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়লেও বড় বড় শপিং সেন্টারগুলো থেকে শুরু করে হালের ফুটপাতও আজ আলোকিত। কে বলবে, ঢাকা ফাঁকা, সবাই তো এখন রাতেও মার্কেটে। এসময় রাত যতই বাড়তে থাকে ততই ক্রেতাদের উপস্থিতির সাথে সাথে বিক্রিও বেড়ে যায় অনেক। বিশেষ করে নগরীর কর্মব্যস্ত লোকজন এবং মধ্যবিত্তদের মাঝে চাঁদ রাতে কেনাকাটা করাটা নিয়মে পরিণত হয়েছে।

 

 

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে দেখা হল সেজুতির সাথে। বলেন, চাঁনরাতে কেনাকাটার মধ্যে ঈদের অন্যরকম আমেজ। অন্যান্য দিনই ঈদের কেনাকাটা করেছি। তবে আজকে কোন চাপ ছাড়াই কেনাকাটা করতে পারছি। অফিসের তাড়া নেই, সেহরি খাওয়ার ব্যস্ততা নেই। অনেক ফ্রি সময়। তাই কেনাকাটার পাশাপাশি ঘুরছি ,ফিরছি। বান্ধবীরাও এসেছে। ওদের নিয়ে মজা করছি।

 

ঈদের শেষ দুটি দিন ব্যবসায়ী বাবার সাথে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পায় আজিমপুরের বাসিন্দা পাপিয়া রহমান । এই তরুণী বলেন, বাবা এতটাই ব্যস্ত থাকে যে ঈদের আগে ছাড়া কখনোই কোথাও যায় না আমাদের সাথে। ঈদের আগে বাবার কোন কাজ থাকে না, বিশেষ করে আজকের দিনে। সারাদিন ঘুরেছি,আজকে রাতেও ঘুরব,বাবা আমাদের বায়নাগুলো পূরণ করে দিবেন।

 

পরদিন ঈদ, তাই অল্প সময়ে সবকিছু কমদামে পেতে চাঁন রাতকেই বেছে নেন অনেকে। এই সময় কেনাকাটা করতে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে জানান গাউসিয়ার বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন। বলেন, অল্পদামে কাপড়চোপড় পাওয়ার আশায় এসময় লোকজন বেশি ভিড় জমায়। ক্রেতাদের মাঝেও যেমন থাকে কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার তাড়না, তেমনি ব্যবসায়ীরাও চায় দ্রুত সবকিছু বিক্রি করে ঈদের দিন পরিবারের সবার সাথে একটু বেশি সময় কাটাতে।

 

সবার মাঝে এখন ঈদের আমেজ। চারদিকে আনন্দের বন্যা। নগরীর সব মার্কেটগুলো এই চাঁন রাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত খোলা থাকবে। পরদিন ঈদ, তাই যতক্ষণ বেচাবিক্রি শেষ না হয় ততক্ষণ আলো জ্বলবে নগরীতে। ভোরের আলোর সাথেই সমাপ্তি ঘটবে এই কেনাকাটার। দীর্ঘ এক মাস পর বিক্রেতারা পাবেন একটু ফুরসৎ। ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়ই একীভূত হবেন ঈদের আনন্দে ।