ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:৪৭:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শ্রীমঙ্গলে ঐতিহ্যবাহী করম উৎসবে মাতলেন চা-শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নৃ-গোষ্ঠী সমাজের সব থেকে বড় উৎসব 'করম উৎসব' এ মাতলেন জেলার চা-বাগানগুলোর নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষরা। মাদলের তালে তালে নাচ আর গানে এক অন্য আবহ তৈরি হলো শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানে। সবুজ-শ্যামল চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে করম উৎসবের রঙ লেগেছিল এই উৎসবকে ঘিরে। বর্ণাঢ্য এই  আয়োজনে জেলার অনেক চা-বাগান থেকে এসেছিল চা-জনগোষ্ঠির মানুষ। সমবেত হয়েছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও।  এক সময় হাজারো মানুষের পদচারণায় অনুষ্ঠানস্থল পরিণত হয়েছিল মিলনমেলায়।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট ইউনিয়নের কাকিয়াছড়া চা-বাগান নাচ মন্দির প্রাঙ্গনে শুরু হয় করম উৎসবের মূল অনুষ্ঠান।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, কমলগঞ্জের মনিপুরী ললিতকলা একাডেমির আয়োজনে ও মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্টের সহযোগিতায় এ  উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
করম উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার),  শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জয়নাল আবেদীন, শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার,  শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান, কালিঘাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালা, রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জি, মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠি আদিবাসী ফ্রন্টের সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ

পরে নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির আলোকে নাচ আর গান মাতিয়ে রাখে দর্শকদের। রাত সাড়ে ৮টায় সমাপ্তি ঘটে এই মিলনমেলার।