ঢাকা, শুক্রবার ২৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০০:৫১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিশু নিনাদ হত্যার কারণ খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৭:৩৭ পিএম, ২০ জুন ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৫:০০ পিএম, ২২ জুন ২০১৮ শুক্রবার

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে শিশু সাফোয়ান আল নিনাদকে হত্যার চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। হত্যার কারণ খুঁজছে পুলিশ।

 

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকান্ডের কারণ ও যোগসূত্র পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।

 

বাসার পাশে খেলতে গিয়ে ঈদের আগের রাতে নিখোঁজ হয় বনশ্রীর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র নিনাদ (৮)। ঈদের দিন দুপুরে বাসার পাশের একটি খোলা জায়গায় পণ্য বহনকারী ঢাকনাওয়ালা ভ্যান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পলিথিন দিয়ে ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলার সম্মুখ অংশে অর্ধ চন্দ্রাকৃতির কালশিটে দাগ রয়েছে। ডান কাঁধের পেছন দিকে হালকা কালো রঙের দাগ।

 

এ ঘটনায় নিনাদের বাবা স্বপন বেপারী অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

 

মামলায় তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। আমরা খুব দ্রুত নতুন তথ্য জানাতে পারব।

 

খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় নিনাদের মামাবাড়িতে বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে থাকত নিনাদ।

 

নিনাদের মামা সাংবাদিক এস এম মুন্না জানান, ওই এলাকায় জমি নিয়ে তার মামাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের পুরনো দ্বন্দ্বের কারণে তার ভাগ্নেকে হত্যা করা হয়েছে ধারণা করছেন তারা।

 

২০১৪ সালের নভেম্বরের শুরুর দিকে মুন্নার মামারা তাদের বাড়িতে ‘অতর্কিতে হামলা’ চালিয়ে তাকে এবং তার মা-বোন-খালাকে গুরুতর আহত করেন বলে জানান তিনি।

 

এ ঘটনায় মুন্না একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় সালাউদ্দিন ও জহিরুল ছাড়াও মুন্নার মামাত ভাই ফিরোজ মিয়া, আরাফাত ও ফয়সালসহ আরো বেশ কয়েজনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন।

 

পরে মুন্না ওই দেড় কাঠা জমি বুঝে পেয়ে নামজারি করেন। সম্প্রতি সেই জমিতে নিনাদদের পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করছিলেন তিনি। ঘরের কাজে হাত দেওয়ার পর থেকে আবারও প্রতিপক্ষের হুমকি পাচ্ছিলেন বলে জানান মুন্না।

 

তিনি বলেন, ধারণা করছি, প্রতিহিংসাবশত তারা আমাদের ভাগ্নেকে খুন করছে।

 

এদিকে র‌্যাবও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে মাঠে নেমেছে। মঙ্গলবার বিকেলে নিনাদের পরিবারের সদস্যদের র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

 

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক ইমরানুল হাসান বলেন, ঘটনাটি তদন্তে র‌্যাবের একাধিক দল কাজ করছে। তাদের এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যায় অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না সেটাও র‌্যাব তদন্ত করে দেখছে। এই নির্মম হত্যায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে র‌্যাব সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।