ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫১:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিতে করল ভারত

খেলাধুলা ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শ্রীলংকাকে ব্যাটে-বলে গুঁড়িয়ে প্রথম দল হিসেবে চলমান বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। আজ বৃহস্পতিবার রোহিত শর্মার দল ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়।

টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মেন্ডিস। ঘরের মাঠে রান পেলেন না রোহিত শর্মা (৪)। 

অধিনায়ক ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই আউট হওয়ায় ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে গুমোট নেমে এসেছিল। তা দ্রুত কাটিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি, শুভমন গিলেরা। শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারদের কার্যত দাঁড় করিয়ে রেখে তাদের শট ছুটল বাউন্ডারির দিকে। দর্শক হয়ে দেখতে হল প্রতিপক্ষের বোলারদের। ২২ গজের কোথায় বল ফেললে কোহলি, শুভমনের আগ্রাসনে রাশ টানা যাবে, তা ঠাওর করতেই পারলেন না তারা। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে কোহলি-শুভমন তুললেন ১৮৯ রান। কোহলি করলেন ৮৮ রান। ৯৪ বলের ইনিংসে মারলেন ১১টি ছয়। উইকেটের অন্য প্রান্তে শুভমনের ব্যাট থেকে এল ৯২ বলে ৯২ রানের ইনিংস। ১১টি চার এবং ২টি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংসটি। দু’জনকেই শতরান পেতে দিলেন না শ্রীলঙ্কার জোরে বোলার দিলশান মদুশঙ্ক। তিনিই আউট করেছিলেন রোহিতকেও। 

ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র শ্রেয়স আয়ারই রান পাচ্ছিলেন না। আজ ঘরের চেনা মাঠে চেনা মেজাজে দেখা গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ককে। ওয়াংখেড়ের ২২ গজে শ্রেয়সের সামনেও ভোঁতা হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা বোলিং আক্রমণ। ৩টি চার এবং ৬টি ছক্কার সাহায্যে তার ৫৬ বলে ৮১ রানের ইনিংস ভারতের রানকে নিয়ে চলে গেল শ্রীলঙ্কার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাকেও আউট করলেন মদুশঙ্ক। রোহিতের মতোই ঘরের মাঠে রান পেলেন না সূর্যকুমার যাদবও (১২)। তাকেও আউট করলেন মদুশঙ্ক। ভারতীয় ব্যাটারদের দাপটের মধ্যেও ৫ উইকেট শ্রীলঙ্কার জোরে বোলারের। যদিও খরচ করতে হল ৮০ রান। তাতেই নির্বিষ হয়ে গেল তার ৫ উইকেটের কৃতিত্ব। ভারতীয় ইনিংসের শেষ দিকে রবীন্দ্র জাডেজা করেন ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। ৮ উইকেটে ৩৫৭ রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে দান ছাড়ল রোহিতের ‘নির্দয়’ ভারত।

ব্যাটারেরা তবু উইকেট উপহার দিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকে। ভারতের বোলারেরা আরও নির্মম আচরণ করলেন। না হলে ১৪ রানে ৬ উইকেট! ২০ ওভারের মশলা ম্যাচেও এমন স্কোর বোর্ড দেখা যায় না। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি— তিন জনে যেন ইচ্ছামতো আউট করলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের। পাথুম নিশঙ্ক (শূন্য), দিমুথ করুণারত্নে (শূন্য), মেন্ডিস (১), সাদিরা সমরবিক্রম (শূন্য), চরিথ আশালঙ্ক (১), দাসুন হেমন্ত (শূন্য), দুষ্মন্ত চামিরারা (শূন্য) নিয়মরক্ষা করতে ব্যাট হাতে ২২ গজে এলেন। এটুকুই অবদান তাদের। ভারতের সেমিফাইনালের রাস্তা মসৃণ করতেই যেন তাদের রণসজ্জা (প্যাড, গ্লাভস, হেলমেট)।

শ্রীলঙ্কার ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট তুললেন বুমরা। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুললেন সিরাজও। আবার নবম ওভারে বল করতে এসে প্রথম ওভারেই দু’টি উইকেট তুলে নিলেন শামি। ভারতের জোরে বোলারেরা ওয়াংখেড়ের লালচে উইকেটে এমন একটা আবহ তৈরি করে দিলেন, যে বলের কাছে ব্যাট নিয়ে যেতেই ভরসা পাচ্ছিলেন না শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। শামিদের বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল বার্মিংহ্যাম বা পার্থে খেলা হচ্ছে।

৩৫৭ রানের জবাবে ২২ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়া পর শ্রীলঙ্কার জয়ের আর কোনও আশা ছিল না। তারও আগে ৩ রানে শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট পড়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল ফলাফল। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে শেষ হল শ্রীলঙ্কার ইনিংস।