ঢাকা, রবিবার ১৯, মে ২০২৪ ১৮:০৯:৩০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চিরিরবন্দরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

লাল বা গাঢ় খয়েরি লাল রঙের বড় আকারের পেঁয়াজ মিশর, চীন কিংবা ভারত থেকে আমদানি করা নয়। এসব বড় আকারের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ এখন চিরিরবন্দর উপজেলায় উৎপাদন হচ্ছে। দিনদিন উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ চাষের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে এবার কৃষকদের সাফল্য এসেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত। কৃষিপ্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবছর ১৫০ জন কৃষককে ১ কেজি করে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজসহ ডেপ, পটাশ সার, পলিথিন ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। এই পেঁয়াজ চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে। পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চলেছেন উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের জগদিশ মেম্বারপাড়ার কৃষক গণেশ চন্দ্র রায়। তিনি কৃষিপ্রণোদনা কর্মসূচির নতুন উদ্ভাবিত নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে হয়েছেন সফল। তিনি মাত্র ১৭ শতক জমিতে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তার ক্ষেতে উৎপাদিত প্রতিটি পেঁয়াজের ওজন কমপক্ষে ২০০-২৫০ গ্রাম। তার জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজ দেখে অন্যান্য চাষিরাও এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। 

নশরতপুর ইউনিয়নের দায়ত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন-অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাজারে যখন শীতকালীন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে, সেসময় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জুলাই-আগস্ট মাসে বীজ বপণ করে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যেই এ পেঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে রোপনকৃত পেঁয়াজ ইতিমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। গাছসহ এ পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, সম্প্রতি আমি নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন সফলতা দেখেছি। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষক খুশি। এ পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি পরিপক্ক হয়নি। পরিপক্ক হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। অপরিপক্ক এসব পেঁয়াজের প্রতিটির গড় ওজন অন্তত ২০০ গ্রাম। তবে পরিপক্ক হলে প্রতিটির ওজন ২৫০ গ্রাম ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমান পেঁয়াজের বাজারদর ভালে হওয়ায় আমরা কৃষকদের বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় নাসিক এন-৫৩ জাত চাষে কৃষি বিভাগ সবধরণের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করছে। এ পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।