বাজারে উর্ধ্বগতি, ক্রেতার হাঁসফাঁস
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:১৭ এএম, ৫ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
আজ মঙ্গলবার। রাজধানীর বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। ঈদের পরে দাম যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে থামার কোন কথাই নেই। এতে ক্রেতারা খুশি না হলেও বিক্রেতারা বেজায় খুশি।
সব্জির দাম এখনও চড়া। কাঁচা মরিচের দাম কমেনি। বেগুন, ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, কাকরোল, ধুন্দল, করলা, চিচিংগাসহ প্রায় সব সব্জিই বাজারে ভরপুর। তারপরেও সব্জির বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সব কিছুর দাম। প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা বেশি। প্রতি কেজি কাঁকড়ল ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, করল্লা ৫৫, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার এখনও বাড়তি। রাজধানীর খুচরাবাজারে মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৪৭ থেকে ৫৪ টাকা ও সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
এদিকে চালের পাশাপাশি রাজধানীর বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দর। গত সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
মাছের বাজারে, প্রতিকেজি রুই ও কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা, শিং মাছ আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাচকি মাছ ২৪০-২৫০ টাকা, টাকি মাছ ৩৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফার্মের লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। হাঁসের ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকায়। লাল কক মুরগির ২০০-২২০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
