তার আদর্শ অনুসরণীয় : হালিমা খাতুনের মৃত্যুতে বিশিষ্টজনেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৯:২৬ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:২৪ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার
চলে গেলেন বাংলার নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন। সবাইকে একা করে তার আদর্শকে আমাদের জন্য অনুসরণীয় করে পৃথিবীর বাধন চিড়ে চিরবিদায় নিলেন। এ বিদায়ের শোক সহ্য করার নয়। এ বিদায় মেনে নেওয়ার মত নয়। তারপরও তার এ প্রস্থান আমাদের মানতেই হবে। তার এ বিদায়ে পুরো বাংলার সবাই মর্মাহত। সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে মিডিয়া অঙ্গন সর্বত্রই শোকের ছায়া। বিশিষ্টজনেরা ব্যাক্ত করেছেন তাদের অনুভূতির কথা।
গোলাম কুদ্দুছ (সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি) : বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় সূচিত হয়েছিলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে। ভাষা আন্দোলনের সময় ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রথম বের হয় মেয়েদের দল। সে দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৪ জন। যাদের মধ্যে হালিমা খাতুনও ছিলেন। সেদিন যাদের সাহসী পদক্ষেপ এনে দিয়েছে আমাদের মায়ের ভাষা, দেখিয়েছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন তাদেরই একজন ছিলেন হালিমা খাতুন। দেশ একজন বরেণ্য নারীকে আজ চিরবিদায় দিল।
শাহীন সামাদ-স্বাধীনতা যুদ্ধের কণ্ঠযোদ্ধা : বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনের আদর্শ ছিলেন হালিমা খাতুন। সে সময় নারীদের সংগঠিত করার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নেন তিনি। তার মনে কোন ভয় ছিলনা। তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন।তারই ধারাবাহিকতায় আমরা নারীরা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা পাই।পুরো জাতি তার অবদান মনে রাখবে।
মিতা হক-বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী
তিনি একজন ভাষাসৈনিক। তিনি এমন সময় ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িয়েছিলেন যে সময় নারীদের বাসার বাইরে বের হওয়াও অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। তিনি সব কিছু অমান্য করে নারীদের অযাচিত বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন।তার মৃত্যুতে সবাই চরমভাবে ব্যথিত।
সুবর্ণা মুস্তাফা-(অভিনেত্রী)
ভাষা আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা এবং সাহিত্যে তার অবদানের স্বীকৃতি অনেক। তিনি ছিলেন আমাদের অহংকার। তার সাহস আর অবদান আমাদের চলার পথে এখনও প্রেরণা যোগায়। সারাজীবন প্রেরণা যোগাবে। তার মৃত্যুতে দেশ হারালো এক ভাষা সৈনিক ও শিক্ষাবিদকে।