ঢাকা, রবিবার ১৯, মে ২০২৪ ৫:৫০:৩৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভোলায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার

ভোলার একটি জমিতে বীজ ফেলছেন চাষি।

ভোলার একটি জমিতে বীজ ফেলছেন চাষি।

ভোলায় চলতি মৌসুমে ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে হাইব্রীড ১৭ হাজার ৫’শ ৭০ হেক্টর, উফশী ৪৫ হাজার ২’শ ৩০ ও স্থানীয় জাত ২’শ হেক্টর রয়েছে। 

এরই মধ্যে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর। নির্ধারিত জমি থেকে ২ লাখ ৮৬ হাজার ২’শ ১৩ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে। বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারিভাবে এবছর ৪০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, জেলায় বোরো ধানের উফশীর মধ্যে সাধারণত ব্রীধান-২৮, ২৯, ৪৫, ৪৭, ৫০, ৫৫, ৫৮, ৬৭, ৭৪, ৮৮, ৮৯। ইরাটম-২৪। বিনা-৮, ১০ ইত্যাদি জাতের চাষ করা হয়। এছাড়া হাইব্রীডের মধ্যে দুর্বার, এসএলএইটএইস, পার্টেক্স-১, কেজিগোল্ড রয়েছে। 

চলতি মাসের প্রথম থেকে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। এদিকে আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি রোপণকৃত বোরোর জন্য অর্শিবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে বলেন, বোরো ধান আবাদে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৭’শ। আর প্রণোদনা পেয়েছে উফশীর জন্য ২০ হাজার ও হাইব্রীডের জন্য ২০ হাজার কৃষক। এছাড়া জেলায় মোট ৬টি রাইসপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে বোরো আবাদ কার্যক্রম চলছে। এতে করে স্বল্প খরচে অধিক সময়ে চারা রোপণ করতে পারছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবীর জানান, বোরো আবাদে আমাদের প্রায় ৪ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। ঠান্ডা ও কুয়াশায় বীজতলার যাতে ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের বলে দেয়া হচ্ছে। আর যেসব চারা রোপণ করা হয়েছে সেগুলো ভালো আছে। 

তিনি আরো জানান, বর্তমানে জেলায় বোরো ধান আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। সারিবদ্ধভাবে চারা রোপণ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা দিচ্ছে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।