ঢাকা, শুক্রবার ২৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০৩:০১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

তথ্য সংগ্রহ শেষে প্রতিবেদন দেবে কোটা সংস্কার কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:২৪ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৮ সোমবার

কোটা সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে সংস্কার কমিটি। সচিবালয়ে রোববার কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

বৈঠকে কর্মকৌশল নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন এ তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, ‘কোটা সংক্রান্ত যে কমিটি করা হয়েছে সেটির প্রথম বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোটা সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি যত তথ্য রয়েছে, পত্রিকার প্রতিবেদন, পিএসসির প্রতিবেদনসহ যাবতীয় প্রতিবেদন সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। এগুলো হাতে পাওয়ার পর কমিটি পরবর্তী ধাপে করণীয় ঠিক করবে।’

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। যা করার আমরা ১৫ দিনের মধ্যেই করব।’ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা না জেনে বিভিন্ন সময়ে নানা দাবি তুলছেন। অনেকে তথ্য না জেনেও আন্দোলন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এ বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। সে জন্য এ শক্তিশালী কমিটি গঠন।


কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।

 

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।


কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই আর রাখা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলেও কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন আশা করে আসছিল আন্দোলনকারীরা।

 

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।