ঢাকা, রবিবার ১৯, মে ২০২৪ ৪:৫০:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

`আকবর` ও `সীতা`র নাম বদলের নির্দেশ কোলকাতা আদালতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কলকাতা হাইকোর্ট একটি সিংহ ও একটি সিংহীর নাম বদলের নির্দেশ দিয়েছে। সিংহটির নাম আকবর, সিংহীর নাম সীতা। এই সিংহ ও সিংহীকে ত্রিপুরা থেকে এনে শিলিগুড়ির উপকন্ঠে ‘বেঙ্গল সাফারি’-তে রাখা হয়েছিল।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেছিল যে এতে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। এনিয়ে তারাই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে।

জনস্বার্থ মামলা নিয়ে আদালতের রায়ের পর বিবিসির উমঙ্গ পোদ্দার কথা বলেছেন জনস্বার্থ মামলা নিয়ে একটি বইয়ের লেখক এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ অনুজ ভুওয়ানিয়ার সঙ্গে।

মি. ভুওয়ানিয়া বলেন, “এ ক্ষেত্রে কোনও অধিকার লঙ্ঘিত হয়নি বা এই সংক্রান্ত কোনও আইনও নেই। তা সত্ত্বেও রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। আদালত কী এটা অনুভব করতে পারল না যে এরকম একটা মামলায় আইনি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে কী না।"

তিনি বলেছেন যে আদালতের উচিত ছিল আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে জরিমানা চাপানো।

অথবা মামলার আবেদনকারীকে দয়া মায়া দেখিয়ে আদালত বলতে পারত তিনি যেন মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত?
মামলাটির শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যও বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন।তিনি সরকারি উকিলকে বলেছিলেন যে তিনি যেন তার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ ইতোমধ্যেই অনেক বিতর্কে জর্জরিত। এরকম পরিস্থিতিতে সিংহ ও সিংহীর নাম নিয়ে বিতর্ক এড়ানো যেত। সাধারণ মানুষ যাকে পুজো করেন, এরকম কারও নামে কোনও পশুর নামকরণ করা উচিত নয়।

আদালত রাজ্য সরকারের আইনজীবী দেবজ্যোতি চৌধুরীর কাছে এও জানতে চান, যে তিনি তার পোষ্যের নাম হিন্দু দেবদেবীদের নামে অথবা ইসলামের নবীর নামের রাখবেন কী না?

বিচারক আরও বলেন, দেশের একটা বড় অংশ সীতার পুজো করেন এবং আকবর একজন ধর্মনিরপেক্ষ মুঘল সম্রাট। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে কেউ কি কোনও প্রাণীর নাম রাখতে পারবেন?

নাম বদলের আশ্বাস সরকারের
শুনানি চলাকালে রাজ্যের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই দুটি প্রাণীর নাম যথাক্রমে ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু তারা এখানে আসার পরই নাম নিয়ে এই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

তিনি আদালতকে প্রতিশ্রুতি দেন যে দুটি নামই বদলিয়ে দেওয়া হবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রিট আবেদন খারিজ করারও অনুরোধ জানান সরকারি আইনজীবী।