ঢাকা, শুক্রবার ২৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৪:৫৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সাংবাদিকতায় নারীরা অবদান রাখছেন : চুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:১১ এএম, ২১ জুলাই ২০১৮ শনিবার

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন তারা। 


আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী ও বালিকাদের প্রতি সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য নারী সাংবাদিকদের এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।


উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এবং নারী উন্নয়ন শক্তি যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারী উন্নয়ন শক্তির নির্বাহী পরিচালক ড.আফরোজা পারভীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টি।

 

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারে উৎসাহ দিতে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়। জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সারাদেশ থেকে জমা হওয়া রিপোর্ট থেকে প্রাথমিকভাবে ৪০ জন সাংবাদিকেকে ফেলোশিপ দেয় আয়োজক সংগঠন দুটি। সেই ফেলোশিপের আওতায় প্রিন্ট মিডিয়া থেকে সেরা তিন জন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে সেরা তিন জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ওয়াজেদ হীরা, দ্বিতীয় হয়েছেন নিউএজের কুমিল্লা প্রতিনিধি ইয়াসমিন রীমা এবং তৃতীয় হয়েছেন যুগান্তরের নারী পাতা সুরঞ্জনা‘র বিভাগীয় সম্পাদক রীতা ভৌমিক। টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন এসএটিভির সিনিয়র রিপোর্টার ফারজানা শোভা, দ্বিতীয় হয়েছেন সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার শাতিলা শারমীন এবং তৃতীয় হয়েছেন নিউজ টোয়েন্টিফোরের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য্য। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট সার্টিফিকেট ও সম্মানী তুলে দেন অতিথিরা।


পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এই পেশাতেও নারীরা ভালো করছে। সেইসাথে পুরুষরা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করছেন। তবে তাদের সম্পৃক্ততা আরো বাড়াতে হবে। 


মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরাট অবদান রয়েছে। দেশের কোথাও কোন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তা সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সরকারের নজরে আসে এবং সে বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

 

তিনি বলেন, নারীরা আজ দেশ বিদেশে বিভিন্ন খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণ পদকসহ বিভিন্ন পদক জয় করে আনছেন। কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে এবং দারিদ্রের হার কমেছে।


তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়ে তাদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলছে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।


আবুল কালাম আজাদ বলেন, নারী ও শিশুদের কল্যাণে সরকার যেসব কমসূচি বাস্তবায়ন করছে তা গণমাধ্যম কর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপুর্ণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।


ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য সকল মহলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

 

আফরোজা পারভীন নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের বিষয়টি আরো গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। 


আঙ্গুর নাহার মন্টি বলেন, সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের পেশাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করছে উইমেন জার্নালিষ্টস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ।