ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০, এপ্রিল ২০২৪ ২:২১:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অশুভ নয়, শুভ পাখি পেঁচা

অনু সরকার

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:৫৯ এএম, ২০ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৩৮ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

পেঁচা অামাদের দেশে একটি অতি পরিচিত পাখি। গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেক পেঁচা েদেখা যায়। পৃথিবীজুড়ে ১৭০ প্রজাতির পেঁচা দেখা গেলেও বাংলাদেশে রয়েছে ১৬ প্রজাতির পেঁচা।

 

এদের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল বড় বড় গোল চোখ আর তীক্ষ দৃষ্টি। মাথা ঘুরিয়ে এরা প্রায় পুরোপুরি পেছনের দিকেও তাকাতে পারে। আর তীক্ষ দৃষ্টির কারণে রাতের অন্ধকারেও শিকার ধরতে কোনো অসুবিধা হয় না। এ কারণেই পেঁচা এক জায়গায় চুপচাপ বসে চারদিকে নজর রাখতে পারে। পেঁচার চোখের পুরো অংশই সাদা। চোখের তারা এবং পা হলুদ। পিঠের দিক গারো বাদামি এবং তার ওপর সাদা সাদা অনেক ফোটা থাকে। এরা জোড়ায় জোড়ায় এক জায়গায় থাকতে পছন্দ করে।

 


চাকতির মতো এদের মুখমণ্ডলের সুবিধা হল খুব সূক্ষ্ম শব্দের প্রতিধ্বনিও এদের কানে পৌঁছায়। অন্ধকারে খসখস নড়াচড়ার শব্দ শুনেই পেঁচা শিকারের অবস্থান বুঝতে পারে। পেঁচার অধিকাংশ প্রজাতি রাতের বেলা শিকার করে। এরা শিকারি পাখিগুলোর মধ্যে অন্যতম। বেশির ভাগ পেঁচারই লম্বা ও ধারালো নখর আছে। শিকারের সন্ধান পেলে বাঁকানো নখড়ের থাবায় শিকার ধরে। এদের খাবারে তেমন বাছবিচার নেই। ছোট ইঁদুর, শুঁয়াপোকা, ছোট পাখি, টিকটিকি, ঢোঁড়া সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদি খায়।

 

পেঁচা দিনের আলো সহ্য করতে পারে না। তাই গাছের কোটরে, বন-জঙ্গল, দালানের ফাঁকফোকর কিংবা গাছগাছালির ঘনপাতার আড়ালে দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে।

 

নির্বিচারে বৃক্ষ উজাড়, ফসল আবাদ করতে জমিতে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, খাদ্যের অভাব, অশুভ পাখি বলে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন কারণে প্রকৃতি থেকে পেঁচার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমাদের সুন্দর আগামীর জন্য প্রকৃতিতে এদের সংরক্ষণ প্রয়োজন।