ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৫৮:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:০৭ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলমান এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এদিন পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। পুনরায় পরীক্ষা শুরুর তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও দুই সপ্তাহ পেছাবে।

এর আগে, সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান নিয়ে পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থায় নেই বলে বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।

পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পড়ালেখায়ও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থা নেই।

পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যায় দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আবুল বাশার।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় স্থগিত করা হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথমে দফায় গত ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

এরপর সিদ্ধান্ত হয় ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু পরে জানানো হয়, ১১ আগস্ট পরীক্ষা হচ্ছে না। অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র বলেছিল, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ও দেশ ছেড়ে পালানো পর বিভিন্ন থানায় হওয়া হামলায় প্রশ্নপত্র রাখা ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছিল। স্থগিত পরীক্ষাগুলো সবশেষ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল শিক্ষা বোর্ড। পরে তা অনুমোদনও করা হয়।