উপকূলের পূজামণ্ডপে চলছে তুলির শেষ আঁচড়
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৪১ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
নদীর কূলে সাদা কাশফুল আর নভোমণ্ডলে খণ্ড খণ্ড মেঘের ভেলা দেখলেই বুঝা যায় ধরিত্রীর বুকে শরত এসেছে। আর শরতের আগমনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় দুর্গা উৎসবে দেবী আগমনের উপলক্ষে পটুয়াখালী উপকূলের পূজামণ্ডপে এখন চলছে প্রতিমা শিল্পীদের শেষ তুলির আঁচড়।
প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে খড় কুটো আর জল মাটির সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন মা দুর্গাদেবী। দেবিদুর্গা ও তার বাহন কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীদের এখন শুধু শিল্পীর শেষ তুলির নিপুণ ছোঁয়া পাবার পালা। মন্দির ও পূজামণ্ডপে চলছে সাজ সজ্জার কাজ । সাজ সজ্জায় বৈচিত্র্য আনতে মণ্ডপে চলছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা। এখানকার মন্দিরগুলো অনেক টাকা খরচ করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে তৈরি করেছে।
প্রতিমা শিল্পী রিপন পাল বলেন, বছর তিনেক আগে আমরা প্রতিবছর নতুন প্রতিমা বানানোর কাজ করতাম। তখন খরচ অনেক কম ছিল বিধায় সকল পূজামণ্ডপ জাকজমক থাকত। এখন অনেক খরচ হওয়ায় নতুন করে কেউ সহজে প্রতিমা তৈরি করে না।
প্রতিমা শিল্পী চয়ন পাল বলেন, আমরা কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের প্রতিমাগুলো নতুন করে রং ও তুলির আঁচড় দিয়ে সাজিয়ে তুলছি। আগে ৭০/৮০ হাজার টাকায় পুরো প্রতিমা তৈরি করা থেকে সাজানো পর্যন্ত খরচ হত। এখন মালামালের দাম বৃদ্ধি, শিল্পীদের পারিশ্রমিক বাড়ার কারণে খরচ এখন প্রায় দিগুণ। শেষ মুহূর্তে দেবীকে পরাবেন পোশাক-পরিচ্ছদসহ অন্যান্য আলপনা।
পঞ্জিকা মতে আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এ দিন হবে ষষ্ঠী পূজা। আর দশমীতে চোখের জলে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উপকূলীয় এলাকায় প্রতিটি মণ্ডপের কাজ শেষ পর্যায়।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রৗ শ্রৗ গেীরগোবিন্দ সেবা আশ্রম পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু কমলেশ হাওলাদার বলেন, পূজায় সরকারি সহায়তা পেলে জাঁকজমক ভাবে উৎসব হবে। অন্যথায় সাদামাটা করতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ তার।
কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নীহার রঞ্জন মণ্ডল বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন শুধু বাকি আনুষ্ঠানিকতা। আশা করি এবারের পূজা আনন্দ ও নিরাপদে উৎযাপন করতে পারব।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, পূজা সুন্দর ও সার্থক করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা সবই করা হবে। সব পূজা মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
